ছবি: সংগৃহীত
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন ছাড়াও কোনও বৈদ্যুতিক সামগ্রী মিললে তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষ। সংসদ আরও জানিয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সিলেবাসের তথ্য লেখা কাগজ মিললেও একই পদক্ষেপ করা হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর, শিক্ষক ও শিক্ষিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও।
সংসদ সূত্রে খবর, ১২ মার্চ থেকে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ করতে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের বিধানমঞ্চে প্রস্তুতি বৈঠক করেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে সংসদের বিশেষ কর্তব্য আধিকারিক তাপস মুখোপাধ্যায় ও সংসদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক শাখার অতিরিক্ত সচিব উৎপল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দুই দিনাজপুরের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।বৈঠকের পরে তাপস বলেন, ‘‘দুই দিনাজপুরে নির্বিঘ্নে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করতে আলোচনা করা হয়েছে।’’
সংসদ নিযুক্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার উচ্চমাধ্যমিক পরিচালনা উপদেষ্টা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আদিত্যনারায়ণ দাস জানান, এত দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন ছাড়াও কোনও বৈদ্যুতিক সামগ্রী উদ্ধার হলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ তা সংসদকে জানাতেন। অনেক ক্ষেত্রে সে সব পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাদের সেই বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হত না।
তবে এ বছর পরীক্ষা চলাকালীন দুই দিনাজপুরে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন ছাড়াও ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, ডিজিটাল ওয়াচ-সহ কোনও যন্ত্র উদ্ধার হলে সংসদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরাসরি তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য লেখা কাগজ উদ্ধার হলে বা কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর, শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে পরীক্ষাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সংসদ কর্তৃপক্ষকে লিখিত রিপোর্ট দেবেন। তা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে সংসদ।
এ দিনের বৈঠকে সংসদ কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন, পরীক্ষার সময় প্রতিটি ক্লাসঘরে নজরদারির জন্য তিন জন শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকবেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দিতে হবে, ভেন্যু সুপার, সেন্টার ইন-চার্জ ও সেন্টার সেক্রেটারি ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বেশিরভাগ পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগাতে হবে।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের এক প্রধান পরীক্ষকের বক্তব্য, দুই দিনাজপুরে অনেক হাইস্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সে সব স্কুলের সমস্ত ক্লাসে নজরদারির জন্য তিন জন করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy