Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পরীক্ষার ফলে ভুল, অভিযোগ মেডিক্যালে

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় প্যাথলজির প্র্যাকটিক্যালে ১৫ নম্বরের মধ্যে ১৬, ১৭ বা ১৮ নম্বর পাওয়ায় হতবাক তাঁরা। প্র্যাকটিক্যাল এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বরে এ ধরনের প্রচুর ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার কলেজের ছাত্র সংসদের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সদস্য এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে পাঁচিল ভেঙে পড়ল কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে পাঁচিল ভেঙে পড়ল কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০২:১৪
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় প্যাথলজির প্র্যাকটিক্যালে ১৫ নম্বরের মধ্যে ১৬, ১৭ বা ১৮ নম্বর পাওয়ায় হতবাক তাঁরা। প্র্যাকটিক্যাল এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বরে এ ধরনের প্রচুর ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার কলেজের ছাত্র সংসদের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সদস্য এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে তৃতীয় শিক্ষাবর্ষে অনুত্তীর্ণের সংখ্যা বাড়াতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা দেখার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল শাসক দলের ছাত্র সংগঠন এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্র সংসদই। অভিযোগ, মাস কয়েক আগে থেকে নতুন নিয়ম করে ছাত্রছাত্রীদের লিখিত পরীক্ষার খাতা ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্স-এ পাঠাতে হচ্ছে। সেখানেই কেন্দ্রীয় ভাবে খাতা দেখা হচ্ছে। তাতে অনেকেই পাশ করতে পারছেন না। সম্প্রতি দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় ৯৯ জনের মধ্যে ৪৪ জনই পাশ করতে পারেননি। তাঁদের সাপলিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। খাতা ঠিক মতো দেখা হচ্ছে না বলেই সন্দেহ ওই পড়ুয়াদের।

কলেজের অধক্ষ্য সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা কোনও সমস্যার কথা তুলে ধরে দাবি জানাতেই পারে। ওই পরীক্ষার ফলে কিছু গোলমাল লক্ষ্য করা গিয়েছে। কলেজের পরীক্ষকেরা ভুলবশত ২০ নম্বরে পরীক্ষা ধরে নম্বর দিয়েছেন। সকলেরই সেই হারে নম্বর কমবে। ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্সেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কলকাতা বাদ দিয়ে জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলি থেকে খাতা নতুন নিয়মে ইউনিভার্সির্টি অফ হেল্থ সায়েন্সে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে দেখার পদ্ধতি চালু হয়েছে। পড়ুয়ারা জানান, এত দিন পরীক্ষার সময় বাইরে থেকে দু’জন পরীক্ষক পাঠানো হতো। কলেজের দু’জন পরীক্ষক থাকতেন। বিষয়ভিত্তিক এ, বি, সি, ডি এই চারটি ভাগে একেক জন সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের খাতা দেখতেন। তাতে যথাযথ মূল্যায়ন হত। বর্তমানে খাতা বাইরে চলে যাওয়ায় এবং সেখানে একেকটি বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের খাতা কয়েক জন পরীক্ষক ভাগ করে দেখছেন। পরীক্ষক ভেদে একই বিষয়ের মূল্যায়নেও হেরফের ঘটছে বলে অভিযোগ জানান কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ কুমার দাস, টিএমসিপি-র মেডিক্যাল কলেজ ইউনিটের সভাপতি অভীক দে-রা। তাঁদের অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের খাতা কয়েক জন শিক্ষককে ডেকে দায়সারা ভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ কলকাতার কোনও মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের খাতা সেখানকারই অপর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। তাদের মূল্যায়ন অন্য রকম হচ্ছে। সেখানকার পড়ুয়ারা স্থানীয় কলেজের অধ্যাপকদের কাছে টিউশনও পড়েন। অনেকে সেই সুবাদে বাড়তি সুবিধাও পেয়ে থাকতে পারেন বলেও দাবি।

তবে মৌখিক এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা আগের নিয়মেই বাইরে থেকে আসা এবং কলেজের পরীক্ষকেরা মিলে দেখছেন। এ ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি অফহেল্থ সায়েন্স থেকে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার রেজাল্টে ভুল নম্বর কী করে লেখা হল তা নিয়েই প্রশ্ন পড়ুয়াদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE