অরূপ বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।
শুধুমাত্র আর শহরের হোটেল বা পার্টি অফিসে বসে বৈঠক নয়৷ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলকে টেনে তুলতে এ বার আলিপুরদুয়ারের গ্রামাঞ্চলে পড়ে থেকে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে নামের সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হতে চলা ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন খোদ দলের আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ এ জন্য টানা কয়েকদিন আলিপুরদুয়ারে পড়ে থাকবেন তিনি৷
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসনে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে৷ যারমধ্যে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার হয়েছে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে৷ জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেও তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে বিজেপি৷ এই অবস্থায় এ বার সরাসরি নীচুতলার কর্মী সমর্থকদের থেকে দলের কোথায় কী সমস্যা রয়েছে তা শোনার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এ জন্য জেলার বিভিন্ন ব্লক ও গ্রামাঞ্চলে পড়ে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা৷ কর্মী-সমর্থকদের থেকে সমস্যা শোনার সঙ্গেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগও করবেন তাঁরা৷
তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরদুয়ারে আসছেন দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস৷ জনসংযোগ বাড়াতেই আগামীকাল শুক্রবার জেলায় একটি মিছিল করার কথা রয়েছে তাঁর৷ এরপর আলিপুরদুয়ার থেকে ফিরে গেলেও ফের এ মাসের মাঝামাঝি সময় জেলায় আসবেন তিনি৷ তারপর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন ব্লকে পড়ে থেকে দলকে টেনে তোলার কাজে নেতৃত্ব দেবেন তিনি৷ বুধবার কলকাতা থেকে অরূপ জানান, “২০জুনের আগেই আমার ফের আলিপুরদুয়ার যাওয়ার কথা রয়েছে৷ টানা কয়েকদিন আলিপুরদুয়াের থেকে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ঘুরব৷”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “এটা বাস্তব যে, আমরা লোকসভা নির্বাচনে হেরেছি৷ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলের কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তার সমাধান বের করতে হবে৷ সে জন্যই এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত৷” তৃণমূলের জেলা নেতাদের কথায়, ‘‘খোদ পর্যবেক্ষকের নেতৃত্বে এই কাজটা হলে আখেরে দলের লাভই হবে৷ দলের কোথায় কী দুর্বলতা রয়েছে তা পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে বুঝে নিতে পারবেন দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বও৷’’
তৃণমূল বিভিন্ন ব্লক নেতাদের একাংশের দাবি, তাঁরা ভোটের অনেক আগে থেকেই চেয়েছিলেন, রাজ্য নেতৃত্ব ব্লকে ব্লকে গিয়ে দলের দুর্বলতাগুলি সরাসরি বুঝে ব্যবস্থা নিন৷ অনেক সময় কোনও কোনও নেতাকে সেই আর্জিও না কি জানানো হয়েছিল৷ ওই নেতাদের কথায়, ‘‘এখন সেটাই করতে চলেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কিন্তু আমাদের কথা শুনে আগে এটা করলে হয়তো লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলকে এ ভাবে হারতে হত না৷’’
যদিও তা মানতে চাননি দলের জেলা নেতারা৷ তাঁদের কথায়, ‘‘রাজ্যের শীর্ষ নেতারা যখনই আলিপুরদুয়ারে আসেন, কোনও না কোনও ব্লকে গিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন৷ সেখানকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দলের সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করেন৷’’ ফলে এই অভিযোগ সত্যি নয় বলে দাবি তাঁদের৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy