সুর-সাথী: মান্না দে-র গানের সম্ভার নিয়ে দেবপ্রসাদ দাস। নিজস্ব চিত্র
বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত একটি সংগ্রহশালা। রেকর্ড থেকে ক্যাসেট, সিডি, ছবি বই কী নেই সেই সংগ্রহে।
মান্না দে-র ৯৮তম জন্মদিনে পাড়ার রাস্তায় বসিয়েছেন মান্নাদের মুর্তি। আলিপুরদুয়ারের পার্ক রোডের বাসিন্দা দেবপ্রসাদ দাস পেশায় অরুণাচলের একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষক। কিন্তু বাসিন্দারা তাঁকে চেনেন মান্না-ভক্ত হিসেবেই। একধিক বার মান্নার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন তবলাও।
সোমবার মান্নার জন্মদিন উপলক্ষে প্রায় সত্তর হাজার টাকা খরচ করে পাড়ার মোড়ে বসিয়েছেন বিখ্যাত শিল্পীর আবক্ষ মূর্তি। এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর মজুমদার জানান, দেবপ্রসাদবাবু বছরের অধিকাংশ সময় অরুণাচলপ্রদেশে থাকলেও বছরের বেশ কিছুটা সময় নিজের বাড়ির সংগ্রহশালায় কাটান।
বাড়ির দোতলায় গ্রামাফোন থেকে পুরোন দিনের টেপরেকর্ডার নানা ধরনের রেকর্ডের সংগ্রহ রয়েছে মান্নার। মান্নাকে নিয়ে লেখা প্রায় সমস্ত বই সংগ্রহে রয়েছে। তা ছাড়া ভূপেন হাজারিকা, লতা মঙ্গেশকর সহ অন্য শিল্পীদের দুর্লভ রেকর্ড সংগ্রহে রয়েছে তাঁর। পার্ক রোডের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মহাত্মা গাঁধীর কথায় গান গাওয়া মান্নার রেকর্ডও রয়েছে দেবপ্রসাদবাবুর কাছে। মান্না প্রায় ২৪টি ভাষায় গান গেয়েছিলেন। তার অধিকাংশ সংগ্রহ করেছেন তিনি। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “সঙ্গীত শেখার পর থেকেই মান্নার অন্ধ ভক্ত ছিলাম। মান্না এক অদ্ভুত গুণের অধিকারী ছিলেন। ক্লাসিকাল সঙ্গীত থেকে আধুনিক সঙ্গীত সব কিছুতেই তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল।’’
তিনি স্মৃতিচারণায় জানান, তাঁর বোনের বিয়ের সময়ে তাঁকে মান্না দেখা করার জন্য সময় দেন। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর কাছে। মান্না একটি মাত্র নেপালি সিনেমায় দু’টি গান গেয়েছিলেন। সিনেমাটির নাম ‘মাইতি ঘর’। সেই রেকর্ড সংগ্রহের জন্য কয়েক বার নেপাল গিয়েছিলাম। যদিও রেকর্ডটি পাইনি। তবে তাঁর সিডি সংগ্রহ করেছি। মোট দু’হাজারের উপর রেকর্ড ক্যাসেট ও সিডি সংগ্রহে রয়েছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy