বিপর্যয়: (উপরে) মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন তুফানির ছেলে তানবির শেখ। ছবি: অভিজিৎ সাহা
মহরম উপলক্ষে চলছিল লাঠি খেলা। ভিড় করেছিলেন গ্রামবাসীরাও। আচমকা নির্মীয়মাণ বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। জখম হন চার জন, যাদের মধ্যে দু’জন শিশু। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায়। জখমদের মধ্যে একটি শিশুকে রাতেই কলকাতায় রেফার করা হয়। আর বাকিরা ভর্তি আছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, মৃত রমজান শেখ (১২) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামকার বাসিন্দা ছিল। মহরম উপলক্ষে জামাইবাবু তুফানি শেখের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল রমজান। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন রাত ন’টা থেকে গ্রামে লাঠি খেলা শুরু হয়। মাঠের পাশেই বাড়ি রয়েছে রাজু রহমানের। তাঁরই বাড়ির একাংশের কাজ চলছে। আচমকা সেখানে নির্মীয়মাণ একটি পাঁচিল ধসে যায়। বাসিন্দারা জানান, তখন পাঁচিলের পাশে বসেই লাঠি খেলা দেখছিল রমজানেরা। জখমদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদের স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় রমজানের। তুফানি বলেন, “দুই ভাগ্নে-ভাগ্নিকে নিয়ে লাঠিখেলা দেখতে গিয়েছিল রমজান। কী থেকে কী হয়ে গেল!’’
ঘটনায় জখম হয়েছে তুফানির দুই ছেলে-মেয়ে, তানবির শেখ ও আন্নু খাতুন। তানবিরকেই রেফার করা হয়েছে কলকাতায়। জখম হন শুকতারা বিবি এবং শাহজাত হোসেন নামে এক কিশোরও। তাঁদের চিকিৎসা চলছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
দুর্ঘটনার পরে লাঠি খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ দিনই রাতে হাসপাতালে আসেন মানিকচকের বাসিন্দা যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে মাঠে খুব ভিড় ছিল। ভিড়ের জন্যই নির্মীয়মাণ পাঁচিলটি ভাঙতে পারে। জখমদের চিকিৎসায় সব রকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy