Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Murder Case

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হননি হবু বৌ, রাগের চোটে তাঁকে খুন করে গ্রেফতার যুবক!

জলপাইগুড়ির পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত স্বীকার করেছেন যে শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাওয়ায় হবু স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছেন তিনি।

Man allegedly killed wife for refusing physical relation ahead of marriage

হবু স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, নিজে সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৩
Share: Save:

বিয়ের আগে হবু বরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে না চাওয়ায় খুন? জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ-হত্যা মামলার তদন্তে নতুন তথ্য পেল পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতের মোবাইল এবং ওড়না।

গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নাদিমা খাতুন নামে এক যুবতীর। ওই ঘটনায় মউমিন নামে একে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে নাদিমার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।

কিন্তু কী কারণে হবু স্ত্রীকে খুন করতে পারেন মউমিন? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মউমিন খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সে দিন পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে নাদিমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তিনি। তার পর হবু বৌয়ের দেহ পুকুরের জলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। প্রমাণ লোপাট করার জন্য নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরের জলে। যাতে মনে হয় জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন নাদিমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ধৃতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত হবু বৌয়ের বাড়ির কাছাকাছি ছিলেন মউমিন। পুলিশি জেরায় তিনি নাকি স্বীকার করেন বিয়ের আগেই নাদিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সায় ছিল না নাদিমার। বৃহস্পতিবার রাতে নাদিমাকে ফোন করে দেখা করার কথা বলেছিলেন তিনি। নাদিমাকে আবার ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় তাঁকে খুন করে ফেলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Love Relationship Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE