Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

হাসপাতালে মুন্না, বিতর্ক কোচবিহারে

অসুস্থতা বোধ করায় মাজিদ আনসারি হত্যাকাণ্ডে তৃণমূল নেতা মহম্মদ কলিম ওরফে মুন্না খানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০১
Share: Save:

অসুস্থতা বোধ করায় মাজিদ আনসারি হত্যাকাণ্ডে তৃণমূল নেতা মহম্মদ কলিম ওরফে মুন্না খানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার রাতে ওই তৃণমূল নেতাকে কোচবিহার জেলা সংশোধনাগার থেকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার দুপুরে তা নিয়ে থানা ও হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্র ও যুব তৃণমূলের কর্মীদের একটি অংশ। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় অভিযুক্ত মুন্না খানকে জামিনের সুবিধে পাওয়ার জন্যই হাসপাতালে ভর্তির ছক তৈরি করেছেন। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। অনেক মুমূর্ষু রোগী ওই ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে মুন্না খান কী ভাবে পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। হাসপাতালের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, শনিবার রাতে মুন্না খানকে ওই ইউনিটে ভর্তি করানো হলেও তাঁকে পরে জেনারেল পুলিশ সেলে রাখা হয়।

কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “মুন্না খান জেনারেল পুলিশ সেলে আছেন। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে। বাকি পরে জানানো হবে।” যুব তৃণমূলের নেতা রাকেশ চৌধুরী বলেন, “মুন্না খান উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। সেই সংক্রান্ত সুবিধের জন্যেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। আর তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখার মতো রোগী নন। তাহলে তাঁকে কেন সেখানে রাখা হবে।”

গত ১৩ জুলাই কোচবিহারে স্টেশন মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হন কলেজ ছাত্র মাজিদ আনসারি। তিনি কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। টিএমসিপির ওই কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। একদল যুবক তাঁকে রাস্তায় আটকে গুলি করে। একটি গুলি তাঁর পেট ফুড়ে বেরিয়ে যায়। ২৫ জুলাই রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তাঁকে যারা গুলি করে তাঁরাও টিএমসিপি কর্মী বলে পরিচিত। ওই ঘটনার পর ২৬ জুলাই রাতে তৃণমূলের নেতা মুন্না খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের একজন অভিজিৎ বর্মন এখনও অধরা রয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পরে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে কাটানোর পরে বর্তমানে জেলান সংশোধনাগারে রয়েছেন মুন্না খান।

কিছু দিন আগে কোচবিহার জেলা আদালতে জামিনের আবেদন করেন ওই অভিযুক্ত। বিচারক তা নাকচ করে দেন। যুব তৃণমূলের অভিযোগ, ফের ওই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। সেই শোনানিতে সুবিধের জন্য তিনি অসুস্থতার ভান করছেন বলে অভিযোগ। সংশোধনাগারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, মুন্না খান ওই দিন রাতে রক্তচাপজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE