প্রতীকী ছবি।
কেউ বেরিয়ে গেলেন বেপরোয়া গতিতে। কারও মাথায় আবার হেলমেটই নেই। কোথাও আবার ঠাসাঠাসি করে তিন জন মোটরবাইকে পৌঁছলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে এ ভাবেই ছুটলেন অভিভাবকেরা। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হচ্ছে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ— প্রচারও চলছে পুরোদমে। আইন ভাঙার কারণে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। তার পরেও অভ্যাস বদলাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষার দিেনও অভিভাবকেরা একটু সচেতন থাকলেন না? অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এ দিন যে ভাবে কিছু ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে যে কোনও সময়ই দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত।
কোচবিহারের ডিএসপি চন্দন দাস বলেন, “এমন ঘটনা একদম অনভিপ্রেত। সন্তানদের নিয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত বাবা-মায়ের। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় কেউ অসুবিধেয় পড়ুক, এটা কাম্য নয়।” ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন মানবিকতার কারণে বহু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এমন চলতে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহার জেলার আহ্বায়ক মিঠুন বৈশ্য বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে সবাই সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে আসুক। একই ভাবে বাড়ি ফিরে যাক। এই কামনাই করি। সেখানে দ্রুত বেগে বাইক চালানো বা মাথায় হেলমেট না থাকা একেবারেই ঠিক নয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরও সাবধান ও সচেতন হতে হবে।”
হেলমেটহীন বাইক চালকের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে কোচবিহারে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও জখমের নজিরও রয়েছে একাধিক। কোচবিহার জেলা পুলিশ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ওই বিষয়ে বাইক চালকদের সতর্ক করছে। তার পরেও যে অনেকেরই হুঁশ ফেরেনি তা এ দিন প্রকট হয়ে গেল। কেশব রোডে ইন্দিরা দেবী গার্লস স্কুলের সামনেই এক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে তাঁর মা-বাবা পৌঁছন। তাঁদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। তাঁদের কথায়, “তাড়াহুড়োয় হেলমেট নেওয়া হয়নি।”
আবার কোচবিহার-দিনহাটা সড়ক এবং বাঁধের রাস্তায় তীব্র বেগে পরীক্ষার্থীকে নিয়ে ছুটতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। তাঁদেরও অনেকের মাথায় হেলমেট ছিল না। এক অভিভাবক বলেন, “দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই একটু জোরে চালাতে হয়েছে।” ওই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “পরীক্ষার সময় সবাই একটু চাপে থাকে। এই সময়ে আরও সাবধান হওয়া প্রয়োজন। এক বার একটা দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। সে কথা মাথায় রাখা দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy