বিজয়চন্দ্র বর্মন। —ফাইল চিত্র
বাড়িতে পুজো সেরে পাঁজিতে সুসময় দেখে মনোনয়ন জমা দিলেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ। পঞ্জিকা মতে বুধবার শুভক্ষণ ছিল দুপুর ২টো বেজে ৪৮ মিনিট থেকে ৩টে ২০ মিনিট পর্যন্ত। এ দিন দুপুর দু’টোর কিছু পরে বিদায়ী সাংসদ বিজয়বাবু জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন। মনোনয়নে লেখা, সই সাবুদ করতে করতে ঘড়ির কাঁটা পাঁজির মতে শুভক্ষণে পৌঁছে যায়। সে সময়েই জলপাইগুড়ির সদর মহকুমা শাসক রঞ্জন দাসের হাতের মনোনয়নপত্র তুলে দিয়েছেন বিজয়বাবু। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের দলের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমি প্রতিদিনই সকালে উঠে স্নান সেরে একটা ধূপকাঠি জ্বালাই। আজও পুজো দিয়ে এসেছি।”
এ দিন বিদায়ী সাংসদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় জেলা তৃণমূলের প্রায় সব গোষ্ঠীর নেতাদেরই দেখা গিয়েছে। জেলা তৃণমূল অফিস থেকে মিছিল করে বিজয়বাবু জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন। মিছিলে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় তেমন ছিল না বলে কটাক্ষও ছুড়েছে বিজেপি। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এক সঙ্গে অনেকে মিলে গেলে বিধি ভঙ্গ হতে পারে। তাই অল্প কয়েক জন মিলেই এসেছি। বিজেপি কী বলছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ওরা তো প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না।”
বেশি লোক না এলেও বিধির গেরোয় পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। জেলাশাসকের চেম্বার লাগোয়া সভাঘরে মনোনয়ন জমা নেওয়া হচ্ছে। এক সঙ্গে অনেক নেতা ঢুকে পড়েন সেই ঘরে। মহকুমাশাসক জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই পাঁচ জনের বেশি থাকা যাবে না। বিজয় বর্মণের সঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুর রজ্জাক এবং তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা পল হাসান ছিলেন। বাকি নেতা-কর্মীরা ঘর থেকে বেরিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ান।
কমিশনের নির্দেশে এবার প্রতিটি মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিডিয়ো সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলাশাসক থেকে শুরু করে কমিশন সরাসরি সেই ফুটেজ দেখছে। সূত্রের খবর, সেই ফুটেজে ভিড় দেখে উপর মহল থেকে পুলিশের কাছে নির্দেশ আসে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কোতোয়ালি থানার আইসি বাহিনী নিয়ে এসে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জেলাশাসকের দফতরের দোতলা থেকে নীচে নামিয়ে আনেন। যার পরে তৃণমলের এক বিধায়কের মন্তব্য, “কমিশন বাড়াবাড়ি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy