মালদহে পিছিয়ে গেল রাহুল গাঁধীর সভা। ১৫ নয়, আগামী ২৩ মার্চ উত্তর মালদহের চাঁচলে রাহুলের সভা হবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দলীয় সূত্রের খবর, চাঁচলের কলমবাগান মাঠেই সভা হবে। মাঠের পিছনের দিকে নামবে রাহুলের হেলিকপ্টার। আর সামনের দিকে হবে সভামঞ্চ। শনিবার মাঠটি দেখে গেলেন সোমেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং জেলা স্তরের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।
সোমেন এ দিন বলেন, “রাহুল গাঁধীর সভা ১৫ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। তবে সভার দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এদিকে, সভা পিছিয়ে যাওয়ায় প্রস্তুতিতে আরও বাড়তি সময় পেয়ে স্বস্তিতে মালদহ কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “আমরা ১৫ মার্চ রাহুল গাঁধীর সভার দিন হিসেবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। তবে হাতে বেশি সময় ছিল না। আটদিন বাড়তি সময় মেলায় প্রস্তুতি নিতে সুবিধে হবে।” সভা পিছনোর কারণ হিসেবে সোমেন এ দিন বলেন, ‘‘শুক্রবার দুপুরে নমাজ পড়েন ইসলাম ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। ফলে দুপুর ৩টে নাগাদ সভা করতে সমস্যা হবে। আর বিকেল হয়ে গেলে কপ্টার নামতেও সমস্যা হবে। তাই দিন বদল করা হয়েছে। ২৩ মার্চ দুপুর ৩টে নাগাদ সভা করবেন রাহুল গাঁধী।”
তবে চাঁচলে রাহুলের সভার জন্য মাঠ বাছতে বিজেপির মডেলই অনুসরণ করল কংগ্রেস। কোচবিহার, বালুরঘাট থেকে শুরু করে মালদহে সভার জন্য সরকারি মাঠ না মেলায় ব্যক্তিগত জমিতে সভা করেছিল বিজেপি। কংগ্রেসও সরকারি মাঠ না পেয়ে সভার জন্য চাঁচলের কলমবাগানে ব্যক্তিগত জমি বেছে নিল। এ দিন সোমেন ও প্রদীপের সঙ্গে ওই মাঠটি দেখতে আসেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরী, ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক-সহ জেলার দলীয় বিধায়করা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সরকারি মাঠের কথাই ভেবেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কিন্তু সামসি কলেজ মাঠ ও চাঁচল কলেজ হস্টেল— নির্বাচনের সময় ভোটকর্মীদের নথিপত্র দেওয়ার কেন্দ্র (ডিসিআরসি) হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে এই মাঠ দু’টি দেওয়া যাবে না বলে প্রশাসন জানিয়ে দেয়। তারপর আর কলমবাগানকেই বেছে
নেওয়া হয়।
এ দিন সভাস্থল পরিদর্শনের পর দলীয় অফিসে বিধায়ক, নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন সোমেন। সেখানে দলত্যাগী সাংসদকে মৌসম নুরকে তুলোধনা করেন জেলা নেতারা। তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘বেইমান’ আখ্যা দিয়ে নেতাদের বার্তা, যেভাবেই হোক, কংগ্রেসের এই আসন থেকে মৌসমকে হারাতে হবে। এ দিন থেকেই কর্মীদের সভা সফল করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাংসদ মৌসম বলেন, ‘‘আমার সম্পর্কে কোথায় কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, মানুষও আমার পাশে রয়েছেন, থাকবেনও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy