তোড়জোড়: গণনার প্রস্তুতি কোচবিহার পলিটেকনিেকর সামনে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
গণনা কেন্দ্রের সামনে ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৈরি হয়েছে গণনার সময় কাউন্টিং এজেন্টদের হাতে থাকা প্রয়োজনীয় তালিকা তৈরির কাজ। রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাউন্টিং এজেন্টদের ফর্মপূরণ করে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ইতিমধ্যেই কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। সবমিলিয়ে কোচবিহারে গণনার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ চলছে জোর কদমে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, গণনাকেন্দ্রের সামনে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও। কোচবিহারের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক কৌশিক সাহা বলেন, “গণনার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
এ দিন ১৯ মে শেষদফার নির্বাচন হয় রাজ্যে। আগামী ২৩ মে ভোট গণনা। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে ভোট গণনা হবে। নির্বাচন কমিশন কমিশন সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভিত্তিক আলাদা আলাদা টেবিল তৈরি করে ভোট গণনা হবে। এ ছাড়াও পোস্টাল ব্যালট গণনার জন্যে আলাদা টেবিল থাকবে। একেক জন প্রার্থীর ১১৩ জন করে কাউন্টিং এজেন্ট থাকবে। ওই কাউন্টিং এজেন্টদের নাম ও যাবতীয় তথ্য দিয়ে নির্বাচনের কমিশনের ফর্মপূরণ করে তা জমা দিতে হয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে। ভোটের দিন গণনাকেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প অফিস থাকবে। দলীয় সূত্রের খবর, ওই দিন তৃণমূল, বিজেপি থেকে শুরু করে বাম এবং কংগ্রেসেরও বহু কর্মী সমর্থক গণনাকেন্দ্রের সামনে ভিড় করবেন। এ ছাড়াও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পরা সাতটি বিধানসভা থেকেই নেতারাও ওই কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমাবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সবার কথা চিন্তা করেই সেখানে ক্যাম্প অফিস তৈরি করেছে রাজনৈতিকগুলি। ওই ক্যাম্পে গোটা দেশের খবর রাখার জন্য টেলিভিশন রাখা হবে। সেই সঙ্গে থাকবে পানীয় জলের ব্যবস্থাও। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আশেপাশের হোটেল এবং কিছু বাড়িতে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। সকাল ৭টার মধ্যে কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “গণনার দিন নানা জায়গা থেকে কর্মী–সমর্থকরা আসবেন। তাঁদের জন্য বসার ব্যবস্থা হিসেবে ক্যাম্প করা হয়েছে। এ ছাড়া দলীয় স্তরে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্প তৈরি সহ দলীয় স্তরে আর যা কাজ রয়েছে তাও শেষ হয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy