Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দার্জিলিঙে বিজেপির সভায় ভিড়

সোমবার মাঠ উপচে ভিড় হওয়ায় পাহাড়ে ‘বিমল ম্যাজিক’ কাজ শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ।

ভিড়: বিজেপির সভায় সমর্থকদের ঢল। দার্জিলিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

ভিড়: বিজেপির সভায় সমর্থকদের ঢল। দার্জিলিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৩
Share: Save:

বিনয় তামাংয়ের ঘাঁটিতে শক্তি বোঝালো বিজেপি, জিএনএলএফ ও বিমলপন্থী মোর্চার জোট। শহরে মহামিছিলের পর দার্জিলিং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জোটের সভা হয়। সভায় উপচে পড়ে ভিড়। বৃহস্পতিবার চকবাজারের সভা থেকে বিমল গুরুং ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিনয় তামাং। বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে তাদের মতো লোক এনে দেখাক বিজেপি জোট। সোমবার রাজু বিস্তার সভা দেখে তাই বিনয়পন্থী নেতাদের অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ। যদিও বিনয়ের দাবি, ‘‘পাহাড় থেকে রেকর্ড ভোটে লিড পাবেন অমর সিংহ রাই।’’

এ দিনের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য রবিবার ভিডিয়ো বার্তায় আবেদন জানিয়েছিলেন বিমল গুরুং। সোমবার মাঠ উপচে ভিড় হওয়ায় পাহাড়ে ‘বিমল ম্যাজিক’ কাজ শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘বিমল গুরুং এখনও পাহাড়ের নেতা। তাই তাঁর ডাকে লোক সাড়া দিয়েছে।’’ পাহাড়ে সে ভাবে দলীয় সংগঠন নেই বিজেপির। তাই সভায় লোক আনতে সহযোগী আঞ্চলিক দলগুলিই ভরসা। নতুন জোটসঙ্গীদের তুষ্ট রাখতে বিমলের পাশাপাশি একাধিকবার সুবাস ঘিসিংয়ের নামও নেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ের মাটিতে সুবাস ঘিসিং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম।’’

এ দিন ম্যাল থেকে সভাস্থল পর্যন্ত জোটের মহামিছিল হয়। এ দিনের সভায় বিমলপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাই-সহ প্রায় সমস্ত নেতা, জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিং, দলীয় মুখপাত্র নীরজ জিম্বা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে জোটের কর্মী, সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। এ দিন ম্যালে পটকা ফাটান বিজেপি জোটের সমর্থকরা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘পাহাড়ের উন্নয়নে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হবে। পাহাড়ের মানুষের দাবিকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা কাজ করব।’’ রাজ্যের শাসকদল পাহাড়ের মানুষের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন কৈলাস। পাল্টা অভিযোগ তুলে পাহাড় তৃণমূল সভাপতি এলবি রাই বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারাই বিভেদের রাজনীতি আমদানি করেছেন।’’

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার চকবাজার ও কার্শিয়াংয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই সভাতেই ভিড় উপচে পড়েছিল। তা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তৃণমূল ও বিনয়পন্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সভার পাল্টা হিসেবে রবিবার কার্শিয়াংয়ের সভাতে মাঠ ভরিয়ে দেয় বিজেপি। সোমবারের সভাতেও যে ভাবে সমর্থকদের ঢল নেমেছে, তা দেখে বিনয় শিবিরের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘লড়াইটা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE