—ফাইল চিত্র।
বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের একাংশ মনে করছে, লোকসভার আগে পাহাড়ে ধীরে ধীরে মাটি শক্ত করছে জিএনএলএফ। মাসখানেক হল পাহাড়ে কর্মসূচিও বাড়িয়েছে সুবাস ঘিসিংয়ের দল। জিএনএলএফের বর্তমান সভাপতি মন ঘিসিংয়েরও দাবি, পুরনো কর্মীরা দলে ফিরতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ব্লকে সভা করে কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছেন দলীয় নেতারা। বুথস্তর থেকে সংগঠন ঢেলে সাজতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী।
তাদের একসময়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ঘুরে দাড়াতে শুরু করায় সতর্ক হয়েছে মোর্চা। মন বলেন, ‘‘এক মাসে অন্য দল থেকে বহু নেতা-কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মও আমাদের ভরসা করছে।’’ বিনয় তামাংয়ের বক্তব্য, ‘‘গুটিকয়েক লোক নিয়ে অনেকেই সভা করছেন। তবে পাহাড়বাসী উন্নয়নের পক্ষে। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই আছেন।’’
লোকসভা ভোটে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁরা যে তৃণমূলের সঙ্গে, তা আগেই জানিয়েছেন বিনয় তামাং। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ভরসা রাখলেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি জিএনএলএফ নেতৃত্ব। তারা মোর্চা, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী মঞ্চেও উপস্থিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে তাদের শক্তি বৃদ্ধি কিছুটা হলেও মোর্চাকে ভাবাচ্ছে, জানিয়েছেন বিনয়ের দলের অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোর্চা নেতা বলেন, ‘‘বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর কাজ শুরু করেছে জিএনএলএফ। পাহাড়ের রাজনীতির অলি-গলিতে ঘোরা ওই পুরনো নেতা-কর্মীরা ফিরে এলে সেটা আমাদের পক্ষে চিন্তার।’’
কয়েক দিন আগেই দার্জিলিংয়ে তাদের কেন্দ্রীয় দফতরে বিভিন্ন দলের কয়েকশো কর্মী জিএনএলএফে যোগ দিয়েছেন বলেই জানান মন। রবিবার কালিম্পংয়ে সভা করে নতুন জেলা কমিটি তৈরি করেছেন তাঁরা। মনের বক্তব্য সেখানেও কিছু পুরনো মানুষ এসেছিলেন। সূত্রের খবর, সমতলেও সংগঠন বাড়াতে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন মনরা। তরাই ও ডুয়ার্স এলাকায় দু’টি বড় জনসভা করার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। জনসভা হবে পানিঘাটা, মিরিক, সুকিয়াপোখরি, গরুবাথানেও। মহেন্দ্র বলেন, ‘‘মানুষ বুঝতে পেরেছে, ষষ্ঠ তফসিলই পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের পথ। তাই ফের তারা আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy