প্রতীকী ছবি।
কারও কটাক্ষ, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। কেউ আবার বলছেন, এ তো রামের জন্মের আগেই রামায়ণ। যা নিয়ে এত কথা তা হল জেলা বিজেপির করা একটি তালিকা। দল সূত্রে খবর, গত শনিবার জেলা কমিটির বৈঠক করে জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতারা ৫০ জনের একটি নামের তালিকা তৈরি করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সেই তালিকা ই-মেল করে পাঠানোও হয়েছে। তালিকায় থাকা ৫০ জনের কেউ ভবিষ্যতে বিজেপিতে আসতে চাইলে রাজ্য নেতারা যেন সম্মতি না দেয়, সেই আবেদন করা হয়েছে। তালিকায় থাকা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। কেউ জনপ্রতিনিধি কেউ আবার জেলার নেতা।
এরা কী কেউ দলে আসতে চেয়েছেন? বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “এ সব বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বলতে পারব না। ভবিষ্যতে দল আরও বড় হবে। আমরা শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বেনোজল দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’
জলপাইগুড়িতে ভোট হয়েছে ১৭ এপ্রিল। তারপরে বেশ কয়েকবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছে বিজেপি। জলপাইগুড়িতে কয়েক দশকের নিরিখে ভোটদানের হার এ বার বেশি। অতিরিক্ত ভোট তাদের বাক্সেই আসবে আশা করে জলপাইগুড়ি বিজেপি নেতারা ফলাফল নিয়ে সদর্থক রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্যে। পর্যালোচনার পরে গত শনিবার ফের জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। দলের সব মন্ডল তথা ব্লক কমিটির নেতাদের থাকতে বলা হয়। বৈঠকের শুরুতেই এক নেতা তৃণমূলের কয়েকজন জনপ্রতিনিধিদের নাম করে দাবি করেন এরা ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তারপরেই কোন কোন নেতাদের যোগদানে আপত্তি জানানো হবে তার তালিকা করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে জলপাইগুড়ি শহরের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। বারোপেটিয়া, পাহাড়পুর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি এবং মালবাজারের পঞ্চায়েত এবং পুরসভার জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। জেলা বিজেপি-র একাংশের দাবি, কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে দলে আসা এক রাজ্য নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ যোগদান হতে পারে।
জেলা বিজেপির এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনে জোর হেসেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। সৌরভের পাল্টা কটাক্ষ, “বহু বিজেপি নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। গণনার পরে বিজেপি কর্মীদের দলে যোগদান করাব। তবে জেলা বিজেপি নেতারা দলে আসতে চাইলে সারা শহরে পরিক্রমা করাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy