বিজয়চন্দ্র বর্মণ
নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বিজয় জানান, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে পুজো দিয়েছেন।
এ দিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস স্টেশনে ঢোকার আগে থেকেই স্টেশন চত্বর ছিল তৃণমূলের দখলে। ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ভাবটা যেন বিজয় জিতেই গিয়েছেন। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘জয় তো আমাদের সুনিশ্চিত।’’
প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিজয়কে সামনে রেখে শুরু হল নির্বাচনী প্রচার। স্লোগান উঠল স্টেশন চত্বরেই। বিজয় বলেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনী লড়াই অনেক বেশি সহজ। নির্বাচনে কার্যত আমাদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।’’
এ দিন এই একই ট্রেনে ফিরেছেন ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় একশো শতাংশ সুনিশ্চিত। আমরাও এর মধ্যেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছি।’’
এ দিন স্টেশনের বাইরেও ছিল সাধারণ মানুষদের ভিড়। তাঁদের প্রতি হাত জোড় করে ভোট চেয়ে প্রচার শুরু করে দিলেন প্রার্থী। তার পর তাঁকে গাড়িতে তুলে শুরু হয় প্রচার মিছিল। সঙ্গে মোটরবাইক মিছিল। এই মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিজয় বর্মণের বাড়ি পর্যন্ত যায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজয় অবশ্য বাড়িতে বসে থাকেননি। তিনি দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে। তার পরে প্রচারে বার হন। বিকেল থেকে রাত অবধি তিনি কর্মিসভা করেন। কখনও মেখলিগঞ্জ মহকুমার হলদিবাড়ির বক্সিগঞ্জে, কখনও হলদিবাড়ি হাসপাতাল পাড়ায়। ওই সভায় অন্যদের মধ্যে বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, দলের অধ্যাপক সংগঠনের নেতা আব্দুল রেজ্জাক, আইনজীবী তপন ভট্টাচার্য প্রমুখও বক্তব্য রাখেন। প্রচারের প্রথম দিনের শেষে দৃশ্যতই খুশি প্রার্থী বিজয় বর্মণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy