Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
school

School opening: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে পড়াশোনা বন্ধ নিখিলদের

দাল্লা চন্দ্রমোহন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র নিখিলের বাড়ি হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পান্নাপুরে। লকডাউনের পরই বাবা কৃষ্ণকান্তের সঙ্গে কাজের জন্য চেন্নাই পাড়ি দিয়েছিল সে।

হীরেশ বর্মণ ও নিখিল রায়।

হীরেশ বর্মণ ও নিখিল রায়। নিজস্ব চিত্র।

জয়ন্ত সেন 
মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫৪
Share: Save:

লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় সংসারের হাল সামাল দিতে মাধ্যমিক পড়ুয়া হবিবপুরের নিখিল রায়, হীরেশ বর্মণরা কাজে বাবাদের সঙ্গে চেন্নাইয়ে গিয়েছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। তবে মাধ্যমিক পাশের পর তাঁরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হয়েছিল। কিন্তু স্কুল না খোলায় ফের ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেয় তাঁরা। সেখানে তাঁরা রাজমিস্ত্রির যোগানদার হিসেবে কাজ করে।

আগামী ১৬ তারিখ থেকে স্কুল খুলছে জেনে হীরেশ চেন্নাই থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছে। একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনও করেছে সময়ে। কিন্তু স্কুলে রেজিস্ট্রেশন চলাকালীন নিখিল ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরতে পারেনি। স্কুল খুলছে জেনে নিখিল ফের পড়তে চায়, ফিরে আসতে চায় বাড়িতে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় কী করে সে পড়বে? চেন্নাই থেকে এখন সেই চিন্তাই করছে নিখিল।

দাল্লা চন্দ্রমোহন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র নিখিলের বাড়ি হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পান্নাপুরে। গত বছর লকডাউনের পরপরই বাবা কৃষ্ণকান্তের সঙ্গে কাজের জন্য চেন্নাই পাড়ি দিয়েছিল সে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় নিখিল বাড়িতে ফিরে এসেছিল। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় ফের কর্মস্থলে ফিরে যায়। মাধ্যমিক পাশের বেশ কিছুদিন পর ফিরে এসে স্কুলে ভর্তিও হয় সে। মাঝে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ তারিখ ও ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলে একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ছিল।

কিন্তু সে সময় সে চেন্নাই থেকে ফিরে আসতে পারেনি বলে দাবি। সোমবার চেন্নাই থেকে ফোনে নিখিল বলে, "স্কুল থেকে জানান হয়েছে রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম পূরণ করতে আমাকে হাজির হতে হবে। কিন্তু সে সময় কর্মস্থলে সমস্যা থাকায় আমি ফিরতে পারিনি। স্কুল খুলছে জেনে আমি বাড়িতে ফিরে এসে ফের পড়তে চাই। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় কি করে পড়ব?”

নিখিলের মা সবিতা বলেন, "স্কুল শিক্ষা দফতর যদি বিশেষ ভাবে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে তবেই ছেলে পড়তে পারে।" স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব লাহিড়ি বলেন, "রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরে স্কুলের তরফে আর কিছু করণীয় নেই।" এ ব্যাপারে জানতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক উদয়ন ভৌমিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি না ধরায় তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি। এ দিকে আর এক পড়ুয়া হীরেশের বাড়ি আকতৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমেঘা দশচৌকি গ্রামে। সে বলে, "স্কুল খুলবে জেনে আমি বাড়ি ফিরে এসেছি। স্কুলের ফাঁকে এলাকায় কাজ পেলে করব।"

অন্য বিষয়গুলি:

school Lock down COVID Restriction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy