সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান চন্দননগর পুলিশ কমিশনার। ফাইল চিত্র।
জগদ্ধাত্রী পুজোর চার দিন নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি থাকবে চন্দননগরে। পুজো দেখার নামে কোভিড-সুরক্ষাবিধি ভাঙা হচ্ছে কি না সে দিকে নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও নজর রাখা হবে। ৫০টি গোপন জায়গা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চলবে শহর জুড়ে। একই সঙ্গে নজর মিনার থেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমেও রাস্তায় নজর রাখবে পুলিশ। সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর চতুর্থীর দিন সাংবাদিক বৈঠক করে চার দিনের নিরাপত্তা-পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখা যাবে কি না, তার স্পষ্ট জবাব দেননি অর্ণব। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ যেমন আসবে, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
চন্দননগরে রাত জেগে ঠাকুর দেখার চল রয়েছে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি থাকায় সেই সম্ভাবনা এ বার কম। দুর্গাপুজোর ক’দিন সরকার ওই নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছিল রাজ্য সরকার। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে সোমবার পর্যন্ত তেমন কোনও ছাড় দেয়নি রাজ্য। যদিও চন্দননগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কার্ফু থাকবে কি না।’’ অর্ণবের বক্তব্যে অবশ্য চতুর্থীর দিনও এ বিষয়ে কোনও পাকাপোক্ত জবাব পাওয়া যায়নি।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান অর্ণব। তিনি জানান, প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি, ডিএসপি, সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পাশাপাশি কনস্টেবল এবং ৬০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নজরদারি চালাবেন। থাকবে বিশেষ ওয়াচ টিম। গোপন জায়গা থেকে ৫০ টি সিসি ক্যামেরায় ভিডিওগ্রাফি হবে। এমন কোনও ছাদ যেখানে কারও নজর না যায় সেই জায়গায় ক্যামেরা থাকবে। এ ছাড়া নজর মিনার থেকে বাইনোকুলারে নজরদারি চালানো হবে। চন্দননগরে ঢোকার রাস্তায় প্রবেশ নিষেধ থাকবে ৯ থেকে ১৫ তারিখ দুপুর দুটো থেকে পর দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত।
এই প্রথম আপৎকালীন মেডিক্যাল পরিস্থিতির জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্ণব বলেন, ‘‘কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু পুজোর দিনগুলোয় রাস্তায় ভিড় থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারে না। এ বছর তাই চন্দননগর রানিঘাটে লঞ্চ থাকবে। যাতে দ্রুত অসুস্থকে লঞ্চে করে চুঁচুড়া ফেরিঘাটে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy