দাবি: লুকিয়ে রাখা ফলক তুলে এনে চলছে বিক্ষোভ। চাঁচলের অলিহন্ডায় বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের ফলক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোনওটিরই কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, সে ফলক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বাঁশ ঝাড়ে, জঙ্গলে ও মরা মহানন্দা নদীতে। এমনই একাধিক প্রকল্পের কাজের ফলক তুলে এনে মাটিতে পুঁতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়দের একাংশ। মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা। শুধু ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজই নয়, শ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়া, আবাস যোজনায় ‘কাটমানি’ নেওয়ার মতো একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও তাঁরা এ দিন তুলেছেন। স্থানীয় শাসক দলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ওই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলের সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্য মহকুমাশাসক (চাঁচল) কল্লোল রায় বলেন, ‘‘বাসিন্দারা নির্দিষ্ট অভিযোগ জানালে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে এলাকায় একাধিক কাজ করা হবে বলা হয়েছিল। মরা মহানন্দা সংস্কার, কলা বাগান থেকে শুরু করে একাধিক কাজ না করেই খাতায় কলমে তা দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এলাকায় কার্যত কোনও উন্নয়নই হয়নি। এলাকার উন্নয়ন না হলেও শাসক দলের সদস্যদের একাংশ নিজেরা ফুলেফেঁপে উঠেছেন। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা ফলক নজরে আসে স্থানীয়দের। তার পরেই সেগুলি তুলে এনে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে শুধু পঞ্চায়েতে সদস্যেদের উন্নয়ন দেখেছি। বাধ্য হয়ে আজ পথে নেমেছি।’’
গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এ সব বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মিথ্যে বদনাম করতেই এ সব করা হচ্ছে। কিছু কাজ ধরা হয়েছিল বলে ফলক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় তা করা যায়নি।’’ চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আফতার আলি বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। এ সব ষড়যন্ত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy