প্রতীকী ছবি।
জরুরি কাজকর্মের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পঞ্চায়েত অফিসের গেটের সামনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সময় মতো অফিস খোলা প্রায় উঠেই গিয়েছে। অফিসের কর্মীদের মর্জিমাফিক তা খোলা এবং বন্ধ করা হয়। এমনকি, দেরি করে অফিস খুলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি পঞ্চায়েত অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের।
শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফাঁসিদেওয়া বাঁশগাঁও কিসমত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে নিময়কানুন বলতে প্রায় কিছুই নেই। তাঁদের অনেকেই সকাল সকাল অফিসে পৌঁছলেও কর্মীদের দেখা পাওয়া যায় না। সকাল গড়িয়ে দুপুর ১টা নাগাদ অফিস খুলতে আসেন কর্মীরা।
সোমবারও একই চিত্র দেখা যায়। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর অফিস খুলতেই হুড়মুড়িয়ে তাতে ঢুকে প়ড়েন এলাকার বাসিন্দারা। কেউ এসেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র নিতে। অনেকে আবার স্কুলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে এসেছেন। তবে একসঙ্গে অনেক কাজ জমে যাওয়ায় ভিড়ে ভিড়াক্কার অফিসঘর। অনেকের সঙ্গে কর্মীদের বচসা বেধে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এটি নিত্য দিনের ঘটনা। অভিযোগ, ‘‘অফিসের কর্মীদের কাছে আম জনতার সময়ের কোনও মূল্যই নেই। বিষয়টি বিডিও সাহেবের দেখা উচিত।’’
পঞ্চায়েত অফিসের ইনচার্জ প্রণব রায়ের দাবি, এ বিষয়ে তিনি জানেন না। প্রণব বলেন, ‘‘ঘটনা সম্পর্কে আমার তেমন ভাবে কিছুই জানা নেই। তবে ফাঁসিদেওয়ার বিডিও-র সঙ্গে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’’ পঞ্চায়েত অফিসের নির্মাণ সহায়ক বিক্রমজিৎ রায় বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কর্মীর কাছে অফিসের চাবি থাকার কথা। অফিস কেন দেরি করে খুলছে বা কখন বন্ধ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy