তিস্তা নদী। —ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি তিস্তা পাড়ের পিকনিক স্পটে ছড়িয়ে রয়েছে নোংরা বলে অভিযোগ। পরিষ্কার জায়গা দখল করতে সাত সকালে পিকনিক স্পটে দেখা গেল অনেককে। এক দিকে, ডাস্টবিন ও শৌচাগার না থাকায় নদীর দূষণ বাড়ছে। পানীয় জলের অভাব থাকায় সমস্যায়পিকনিকে যাওয়া সাধারণ মানুষ। পিকনিক স্পটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি তোলেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ির পিকনিক স্পটগুলির মধ্যে অন্যতম তিস্তা স্পার। পিকনিকের মরসুম শুরু হতেই তিস্তার হাজির হন অসংখ্য মানুষ। নদীর চরে উনুন জ্বালিয়ে দিনভর চলছে রান্নাবান্না। প্রতিবছর পিকনিক মরসুমে হাজির হন অনেকে। ঢিলছোড়া দূরত্বে প্রশাসনিক দফতর রয়েছে। কিন্তু তার পরেও পিকনিকে স্পটে নদী দূষণ রুখতে প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ।
নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবার পিকনিককে কেন্দ্র করে চরে উপচে ভিড়। এ দিকে চরে দিনভর রোদ থাকায় অনেককে দেখা গেল একটু ছায়া ও পরিষ্কার জায়গা দখল করতে। রান্নাবান্না সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। নিজেরাই পিকনিক স্পট পরিস্কার পরিচ্ছন্নের হাত লাগালেন। বেলা বাড়তেই পিকনিক দলের সংখ্যা বাড়তে থাকে এ দিন। এ দিকে পিকনিক স্পটে শৌচাগার না থাকায় খুবই সমস্যায় পরেন অনেকে।
পিকনিকে এসে শান্তি পাড়ার বাসিন্দা রিয়া গোস্বামী বলেন, ‘‘তিস্তা পার এখন জলপাইগুড়ির কাছে একটি পরিচিত পিকনিক স্পট। এখানকার পরিবেশ সকলের প্রিয়। কিন্তু নদী দূষণ হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়টি যেমন সকলের দেখা দরকার, তেমনি প্রশাসনের উচিত পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” এ দিকে মোহন্ত পাড়ার বাসিন্দা শ্রেষ্টা সরকার বলেন, ‘‘জল নিজেদের নিয়ে আসতে হয়। কারণ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই চরে। শৌচাগার, ডাস্টবিন না থাকায় নদীতে দূষণ হচ্ছে। সকলকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের উচিত পরিবেশ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসা।’’এ দিকে এক কলেজ ছাত্রী শৃজা ঘোষ বলেন, ‘‘জরুরি পরিষেবা জল, শৌচাগার ও ডাস্টবিন না থাকায় সকলের সমস্যা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy