ক্ষোভ: পণ্য কম দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ চাঁচলের হজরতপুরে একটি রেশন দোকানে।
কোথাও খাদ্যসামগ্রীর পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ, কোথাও ওজনে কারচুপির অভিযোগ। শনিবার সকাল থেকে রেশন নিয়ে এমনই একাধিক অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের একাধিক এলাকায়। পুলিশ-প্রশাসন ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। অভিযোগ, বিক্ষোভ এবং পণ্য নিতে রেশন দোকানে হুড়োহুড়িতে উধাও হয় সামাজিক দূরত্ব। সামাজিক দূরত্বের বার্তা দিতে কোথাও যান বিডিও, কোথাও ‘গোল্লাছুট’ আঁকে পুলিশ।
লকডাউনে কাজ না থাকায় শ্রমজীবী অনেকের ঘরে ‘বাড়ন্ত’ চাল। এমন অবস্থায় গ্রাহকদের রেশনে বিনামূল্যে চাল বিলির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ দিন থেকে শুরু হয় চলতি মাসের রেশন বিলির কাজ। আর রেশন বিলি শুরু হতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করে জেলায় জেলায়। এ দিন সকালে চাঁচল ২ ব্লকে রেশনে ঘোষণামতো খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। রেশন ডিলারকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। একই দাবিতে রায়গঞ্জের লহণ্ডা গ্রামেও রেশন ডিলারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, রেশনে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। যদিও ঘোষণা করা হয়েছিল মাথাপিছু সাত কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
ওজনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ হয় ডালখোলাতেও। ডালখোলা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেশন দোকানগুলিতে অভিযান চালান পুরসভা কর্তৃপক্ষ। যুগ্ম প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী বলেন, ‘‘মাথাপিছু গ্রাহকদের ৭০০-৮০০ গ্রাম করে চাল, গম কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডিলারদের নিয়ে বৈঠক করে সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও ছবিটা বদলায়নি।’’ এ দিকে, রেশন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া চাল, গম বাজারে বেআইনি ভাবে বিক্রি রুখতে রাস্তায় নামেন মালদহের হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা। তিনি বলেন, “রেশনের পণ্য বাজারে কেনাবেচা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন রেশন দোকান গুলিতে অভিযান চালিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” রেশন নিয়ে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy