—প্রতীকী চিত্র।
গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার বাংলা আবাস যোজনায় জালিয়াতির ঘটনায় টানা জেরার পরে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল ইসলামপুর সাইবার থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তুলে ৫ দিন হেফাজতে নেয় পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ-জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার যোগ মিলেছে। তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরে পাঞ্জিপাড়ার সরকারপাড়া, শান্তিনগর ও নতুনপাড়া গ্রাম থেকে ন’জনের টাকা গায়েব হয়েছে। অভিযোগ, ধাপে ধাপে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকেরা। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন মনোজিৎ বিশ্বাস ও শুভেন্দু বিশ্বাস। মনোজিৎ বিজেপির পাঞ্জিপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য আরতি বিশ্বাসের স্বামী। শুভেন্দু সাইবার ক্যাফে চালান। মনোজিতের বিরুদ্ধে উপভোক্তাদের আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করার সূত্র মিলেছে। এই কাজে যুক্ত সাইবার ক্যাফের মালিক শুভেন্দু। সূত্রের খবর, আধার লিঙ্কের মাধ্যমে ‘থার্ড পার্টি’ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তুলেছে প্রতারক চক্র। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে এটিএম কম, সেখানে এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্কিংয়ের কাজকর্ম করে থাকেন গ্রাহকেরা। আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস) হল, যেখানে ব্যাঙ্কের গ্রাহক তাঁর আধার পরিচয় ব্যবহার করে ব্যালান্স যাচাই, টাকা তোলা, টাকা পাঠাতে পারেন। এর মাধ্যমে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার বেশি তোলা সম্ভব নয়। প্রতারক চক্রটি তাই ধাপে ধাপে টাকা তুলেছে। ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত থাকার অভিযোগ মিলেছে। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এ দিকে, বাংলা আবাস যোজনায় জালিয়াতি-কাণ্ডে গোয়ালপোখর ব্লক প্রশাসনের তরফে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন জেলার ৯টি ব্লকের আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে এবং আবাস যোজনায় নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। গোয়ালপোখর বিডিও কৌশিক মল্লিক বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে এদিন পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে সতর্ক করার পাশাপাশি ব্লক জুড়ে মাইকে সচেতন করা হচ্ছে।
প্রতারণার ঘটনায় বিজেপির সদস্যের স্বামীর নাম জড়িয়ে পড়তে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘আসল পান্ডাদের আড়াল করতে বিরোধী দলের লোকজনদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। সঠিক ভাবে তদন্ত করা হলে সবটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের সহ সভাধিপতি গোলাম রসুল বলেন, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার এমনিতেই আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আর যখন রাজ্যে সরকার তা দিচ্ছে, বিজেপি টাকা সাফ করে নিচ্ছে। বদনাম করতে চাইছে তৃণমূল সরকারের। সাইবার পুলিশ তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে বলেই ওই দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy