হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত মা-মেয়ে। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
দুই বাড়ির এক উঠোন। এক বাড়িতে মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ অন্য বাড়ির বছর তেরোর মেয়েটি এমনিই প্রতিবেশীদের ঘরে ঢুকলে অভিযোগের আঙুল উঠল তার দিকে। প্রতিবেশীদের হাতে বেধড়ক মারধরও খায় কুলসুম খাতুন নামে মালদহের বৈষ্ণবনগর জাহাঙ্গিরটোলার সেই কিশোরী।
সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার পরে রাতে কুলসুমের পরিবারের সঙ্গে তাদের প্রতিবেশী পরিবারের ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার মধ্যেই প্রতিবেশী পরিবার হাঁসুয়া, বাঁশ নিয়ে কুলসুমদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হাঁসুয়ার কোপ পড়েছে কুলসুমের উপরেও। তার মা, বাবা ও এক দিদিও গুরুতর আহত। কুলসুমের বাবা মহিবর রহমান পেশায় দিন মজুর। তাঁকে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুলসুম, তার মা রুকিয়াবিবি ও দিদি জুয়েনারাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাঁদের শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। এ দিন সকালে ওই প্রতিবেশীদের পরিবারের ১১ জনের নামে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিবর। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে চুরি করেনি। তবু তাকে প্রচণ্ড মারধর করেছে। তখন আমরা বাড়িতে ছিলাম না। পরে ওই বাড়িতে গেলে আমাদের হাঁসুয়া, লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়।’’
থানাতে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা। জুয়েনারার বক্তব্য, ‘‘কেন পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বুঝতে পারছি না।’’ সাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান রাজিয়াবিবি জানান, পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই ফেরার রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy