একদল শ্রমিকের কার্ড আছে, রেশন নেই। বাকিদের কার্ড-ই নেই। কারও বার্ধক্য ভাতার তালিকায় নাম ওঠেনি, পেনশনের তালিকায় নাম নেই অনেকেরই। এমনই নানা অভিযোগ শুনে বিরক্ত লোক আদালতের বিচারকরা। সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার সকালে মিরিক ব্লকের বন্ধ পানিঘাটা চা বাগান এলাকায় এই লোক আদালত বসেছিল। বিচারকের দুটি বেঞ্চে এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শোনেন বিচারপতি প্রদীপ্ত রায়, প্রভাতকুমার দে, রাজেন থাপা, অ্যালভিন মিঞ্জ, ভরতকুমার গিরি ও অমিত সরকার। ছিলেন মিরিকের বিডিও পিনাকী বিশ্বাস, শিলিগুড়ির সহকারী প্রভিডেন্ড ফান্ড কমিশনার কেএন খেসাঙ্গ।
চা বাগানের বাসিন্দা দীপেন বিশ্বকর্মা, রতন লাকন্দ্রি, প্রিসিলা কিণ্ডুর মত প্রায় দুশো জন বাসিন্দার অভিযোগ, রেশন কার্ড থাকলেও তাঁরা সরবরাহের খাদ্য পান না। দীপেনবাবুর অভিযোগ, ‘‘কার্ড হাতে করে রেশন দোকানে গেলেও রেশন দেওয়া হয় না। কোনও সদুত্তরও মেলে না।’’ কারও ১০ বছর, কারও ১২ বছর ধরে কার্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও সুবিধা পান না তাঁরা। বিডিও পিনাকীবাবু অবশ্য দাবি করেন, কেন শ্রমিকদের একাংশ রেশন পাচ্ছেন না তা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি জেলাশাসককে জানাবেন।
এক কর্মী জানান, বাগান কর্মীদের জন্য আলাদা রেশন কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ওই কার্ড থাকলে খাদ্য সরবরাহ দফতরের কার্ড দেওয়ার নিয়ম নেই। ফলে গত প্রায় ৬ মাস ধরে বাগান বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাগান কর্তৃপক্ষের কেউই বাগানে নে ই বলে শ্রমিকদের দাবি।
বাগানের প্রাক্তন কর্মী মণিকুমার থাপার, পেনশন জমা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলে বিচারক সাতদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০০২ সাল থেকে প্রভিডেন্ড ফান্ড জমা হয়নি বলে দাবি করেন সাইলা ছেত্রী। জেলা প্রশাসনকে পানিঘাটা চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন নিজেদের সমস্যা নিয়ে শ’তিনেক শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা লোক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
লোক আদালত আয়োজনের দায়িত্বে থাকা দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, ‘‘এ দিন প্রত্যেকের সমস্যার কথা শোনা হয়েছে। যাঁদের কথা শোনা বাকি থেকে গেল আগামী সপ্তাহে আমরা উদ্যোগ নিয়ে ফের তাঁদের অভিযোগ শুনে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy