সহপাঠিনীকে কটূক্তির অভিযোগে এক কিশোরকে মারধর ও বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল। ওই কিশোরকে মারধরে অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করলে লাগাতার পথ অবরোধ-সহ বড় ধরনের আন্দোলনে নামা হবে বলে শনিবার রাতে উমাচরণপুর গ্রামের একাংশ বাসিন্দা ফালাকাটা থানায় গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন। এরপর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রবিবার সকালে সহপাঠিনীর কাকাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। গত মঙ্গলবার সহপাঠিনীকে কটূক্তি করার ঘটনায় ওই কিশোরকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে মাদারিহাট ধানার পশ্চিম মাদারিহাট গ্রামে কিশোরীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাদারিহাট থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম ওই কিশোর বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাঁর মা থানায় মোট দশ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ প্রথমে মারধর ও কিশোরের মাকে শ্লীলতাহানির মামলা রজু করে। কিন্তু তিন দিনেও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের গোপন আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত, কিশোরীর মেশোমশাই বাড়িতে ছিলেন বলে খবর। মামলা হালকা করতেই পুলিশ হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেনি বলে অভিযোগ। গ্রামের তৃণমূলের নেতা আতাউর রহমান অভিযোগ করেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই পুলিশের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের অভিযুক্তদের গোপন আঁতাত হয়েছে। সে কারণে পুলিশ তিন দিন নিষ্ক্রিয় ছিল। কিশোরী সচ্ছল পরিবারের। এতদিন ওই পরিবারের লোকেরা গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল।’’ ফালাকাটা থানার আই সি ধ্রুব প্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy