Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পুলিশের নাকের ডগাতেই বেনিয়ম

যাত্রীদের দাবি, পুলিশ সতর্ক হলে চালক রেষারেষির সাহসই করতেন না। মোবাইলে কথা বলা তো দূরের কথা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এই রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে স্পিডব্রেকার বসানো আছে। নজরদারি বাড়ানো হবে। 

বেপরোয়া গতিকে দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

বেপরোয়া গতিকে দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share: Save:

হবিবপুরের হুড়াবাড়িতে বাস দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দু’টি বাসের রেষারেষি ও চালকের কানে মোবাইল ফোন থাকার কথাই উঠে আসছে। আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন পুলিশ-প্রশাসন নজরদারি করছে না?

মালদহ নালাগোলা রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এই রুটে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক বাস চলাচল করে। ফলে যাত্রী তুলতে রেষারেষি নিত্য দিনের ঘটনা। সঙ্গে আবার ম্যাক্সিট্যাক্সি ও ম্যাজিক ভ্যানও যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করে। পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগার উপরই সমস্ত কিছুই ঘটছে। কিন্তু কেউ সতর্ক করেন না। তাই প্রতিদিন প্রাণ হাতে করেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের দাবি, পুলিশ সতর্ক হলে চালক রেষারেষির সাহসই করতেন না। মোবাইলে কথা বলা তো দূরের কথা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এই রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে স্পিডব্রেকার বসানো আছে। নজরদারি বাড়ানো হবে।

মালদহ থেকে নালাগোলা দূরত্ব ৬২ কিলোমিটার। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৬২ কিলোমিটার রাস্তায় ৬৪টি বেসরকারি বাস চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২০টি ম্যাক্সিট্যাক্সি ও ৩০টির মতো ম্যাজিক ভ্যানও চলে। দিনে ৬৪টি বাস চলাচল করায় দুটি বাসের মাঝে সময়ের ব্যবধান থাকে মাত্র ৫ মিনিট। কিন্তু যানজটের জন্য সব গাড়িরই দেরি হয়। তখন সময় ঠিক রাখতে সব বাস সুযোগ পেলেই গতি বাড়ায়। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।

অন্য বিষয়গুলি:

Maldaha Habibpur Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy