প্রতীকী ছবি।
আগামী ১৭ জানুয়ারি উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সদস্য কৃষ্ণ কল্যাণীর (রিঙ্কু) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা। কিছুদিন আগে রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে বৈঠক করে এমনই দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরে রায়গঞ্জ শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণর সঙ্গে তৃণমূলের চাপানউতোর চরমে উঠেছে, বলে খবর।
রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ জেলায় বহুমুখী ব্যবসায়ী তথা শিল্পপতি। তাঁর বাবা দীনদয়াল কল্যাণী ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর থাকাকালীন প্রয়াত হন। অতীতে দীনদয়াল রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান ও উপ পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। কিছুদিন আগে রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল নেতৃত্ব ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অভিষেক দাসকে সরিয়ে প্রসেনজিৎ সাহাকে দায়িত্ব দেন। কেনও তাঁকে না জানিয়ে অভিষেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে কয়েকদিন আগে কৃষ্ণ রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেন।
কৃষ্ণ বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পর রায়গঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব না জানিয়ে অভিষেককে পদ থেকে সরিয়ে প্রসেনজিৎবাবুকে দায়িত্ব দেয়। পাশাপাশি, আমাদের বাড়ি থেকে কাউন্সিলরের কার্যালয় বিধানমঞ্চে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমি প্রিয়তোষবাবুকে ফোন করে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’
এ বিষয়ে প্রিয়তোষের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কৃষ্ণবাবু কে? তৃণমূলে কৃষ্ণবাবুর কোনও অবদান নেই। তাঁকে জানিয়ে দলের কাজ করতে হবে বলে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’’
কৃষ্ণর পাল্টা দাবি, ‘‘আমার থেকে বিভিন্ন সুযোগ নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব সম্মতি না নিয়ে জেলা কমিটির সদস্য করেছিল। প্রিয়তোষবাবুর বক্তব্যে সে কথা প্রমাণ হল। ভবিষ্যতে আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তা সবাই দেখতে পাবেন।’’
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, ‘‘কৃষ্ণবাবুই তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন।’’ কৃষ্ণর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের থেকে সুবিধা নিয়েছি, তা সন্দীপবাবুকে প্রমাণ করে দেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy