চা বাগান থেকে কীটনাশকের বিষ দূরে রাখতে নানা ব্যবস্থার কথা বলা হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি বিভিন্ন ছোট চা বাগানে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ। এ বার কৃষকদের বোঝাতে উদ্যোগী মহকুমা কৃষি দফতর। তাঁরা কৃষকদের ডেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে সচেতনতা করবে। প্রয়োজনে চা বাগানে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে নজরদারি রাখবে তারা। সে জন্য আগামী ৯ এপ্রিল শিলিগুড়িতে মালিকপক্ষ, কীটনাশক সংস্থা এবং কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মহকুমা কৃষি অধিকর্তা দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘মালিক পক্ষের কেউ কেউ রোগ পোকার আক্রমণের দাবি করছেন। কিন্তু কিটনাশকের ব্যবহার চায়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। তা বোঝানো হবে। প্রয়োজনে পরামর্শ দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি শিলিগুড়ির চায়ের কদর কমার অভিযোগ উঠেছে। চা বিক্রি কমার দাবি করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশই। তাতেই প্রশ্ন উঠছে চা-এ কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়টি। যদিও শিলিগুড়ির চায়ের বিক্রি কমার কারণ হিসাবে নেপালের চায়ের আমদানি কারণকেও দায়ী করেছেন মালিক পক্ষগুলি।
নর্থবেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভরত জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা নানা ভাবে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধের কথা প্রচার করছি। লিফলেট বিলি থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি চায়ের বিক্রির কমার অভিযোগ নেই। তবে কিছু বাইরের চা ঢুকছে। স্থানীয় নাম দিয়ে বিক্রি হচ্ছে।" তাঁর দাবি, শিলিগুড়িতে পাঁচ হাজারের মত ছোট বাগান মালিক রয়েছেন। চা পাতার দাম কমেছে বলে চাষিরা দাবি করছেন। তবে ছোট চা বাগানগুলির নিজস্ব কারখানা থাকে না। বটলিফ কারখানায় বিভিন্ন বাগানের পাতা মিশিয়ে চা তৈরি হয়। তাই কোন বাগানের পাতায় কীটনাশক বেশি বোঝা মুশকিল। সে জন্য প্রত্যেক বাগানকে আলাদা করে বৈঠকের কথাও জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ে তোলপাড় হয়েছে চা বলয়। বিষাক্ত কীটনাশের দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কীটনাশকের ব্যবহারে অভিযোগে চা রফতানি কমেছে বলে দাবি। সে জন্য কীটনাশকের কমাতে সক্রিয় হচ্ছে কৃষি দফতর এবং বাগান মালিকদের একাংশ। কৃষি দফতর তরফে শিলিগুড়িতে সচেতন করা হবে এবং নজরদারির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে দাবি।