শিলিগুড়ি হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
জ্বর, গা-হাত-পা ব্যাথা, বমি-বমি ভাব। এর জেরেই আপাতত কাবু শিলিগুড়ি শহর। জ্বরে অসুস্থ খোদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপারও।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সব উপসর্গ নিয়ে গত চার দিনে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে প্রায় দু’শো রোগী ভর্তি হয়েছেন। এটা ভাইরাস ঘটিত জ্বর বলে চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা এ সময় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ সংক্রমণ ঘটে থাকে। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ওই ধরনের সংক্রমণ ঘটছে কি না সেই পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আবহাওয়ার জন্য ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘গত তিন-চার দিনে ভাইরাস ঘটিত রোগে অনেক বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছেন। প্রতিদিনই অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তবে তাদের বেশির ভাগই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত রোগী। সুস্থ হলে তাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ বুধবার, বৃহস্পতিবারও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে শুধু পুরুষ বিভাগেই ৪০ জনের বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। সব মিলিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এ দিন সকালে ছিল সত্তরের কাছাকাছি। সুস্থ হলে দুপুরে পুরুষ বিভাগ থেকে ২৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবারও এমন উপসর্গ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক শীর্ষেন্দু পাল জানিয়েছেন, ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুই এক জনের ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রমণ মিলেছে। তবে ভাইরাস ঘটিত জ্বরই বেশি হচ্ছে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবার জ্বর, বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, দার্জিলিং মোড়ের বাসিন্দা রামবিলাস পাসোয়ান, ভানুনগর এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ রায়েরা। রামবিলাসবাবুর স্যালাইন চলছে। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডুপুকুর এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাসও এ দিন জ্বর নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরিবারের লোকেরা জানান, জ্বরের সঙ্গে গা, হাত পা ব্যথা, বমি-বমি ভাব রয়েছে।
হাসপাতালের বহিবির্ভাগেও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী আসছেন। বুধবার জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার নির্মল বেরাও। ভাইরাস ঘটিত জ্বর বলেই তিনি মনে করছেন। তাঁর কথায়, ঠাণ্ডা, গরম আবহাওয়ার জেরেই এই সময় এ ধরনের ভাইরাল ফিভার হয়ে থাকে। মেডিক্যালেও এ ধরনের জ্বর নিয়ে প্রচুর রোগীরা আসছেন। সুপার বলেন, ‘‘এ দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি জেনেছেন, সম্প্রতি যে জ্বর হচ্ছে তা বাসিন্দাদের কাবু করে দিচ্ছে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। জ্বর সেরে যাওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিন পর তাদের অনেকের ফের জ্বর আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy