ফাইল চিত্র।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য ছাড়পত্র দিল বায়ুসেনা। সেই সঙ্গে ১০৪ একর জমিতে প্রস্তাবিত টার্মিনাল তৈরির জন্য বায়ুসেনার জমি ব্যবহারের ছাড়পত্রও এসেছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার এবং ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এএআই) সমীক্ষার পরে ১০৪ একরের সামান্য কিছু বেশি জমি বিমানবন্দরের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখানে ৫.৯৩ একর জমি সরাসরি বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রথমে তাই রাজ্যের তরফে ৯৮.৭২ একর জমি লিজ়ের প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। বাকিটার জন্য বায়ুসেনার অনুমতি ও ছাড়পত্র চাওয়া হয়।
সম্প্রতি তা ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি’ পেয়েছে বলে খবর। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণি পি বলেন, ‘‘বায়ুসেনার তরফে সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে। নতুন টার্মিনালের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।’’
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা চূড়ান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে প্রায় ১,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হওয়ার কথা। এর মধ্যে জবরদখল রুখতে ১১ কোটি টাকায় নতুন জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি’। অগস্ট মাসের শেষেই নতুন জমিটি পুরোপুরি ঘিরে ফেরার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সাড়ে সাত লক্ষ বছরে যাত্রীধারণ ক্ষমতার টার্মিনাল রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি অবধি, প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষের মতো যাত্রী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছেন। করোনার আগে, এই সংখ্যাটা বছরে ৩০ লক্ষ পার করে গিয়েছিল। এতেই নতুন টার্মিনাল ভবন-সহ সম্প্রসারণের জন্য জমির প্রয়োজন হয়।
রাজ্য সরকারের কাছে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি’ জমি চায়। কিন্তু ওই এলাকায় রাজ্যের হাতে জমি না থাকায় একটি চা বাগানের জমির অংশের লিজ় ফিরিয়ে, তা সরকার অধিগ্রহণ করে এয়ারপোর্ট অথরিটিকে তুলে দেওয়ার কথা জানায়। এ জন্য জমির জন্য ২৫ কোটি টাকা এয়ারপোর্ট অথরিটি রাজ্যকে দেওয়ার কথা জানায়। সংশ্লিষ্টদের একাংশের দাবি, তা দেশে প্রথম। গত দু’দশক ধরে জমি চিহ্নিতকরণ, মাপজোক চললেও নানা জটে তা আটকে ছিল।
বাগডোগরা সামরিক বিমানবন্দর। ‘এটিসি’ (এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল) এবং রানওয়ে বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েক বছর আগে, বাগডোগরায় ‘আইএলএস’ বা ‘নাইট ল্যান্ডিং’ পরিষেবা চালুর জন্য রাজ্য সরকার এয়ারপোর্ট অথরিটিকে ২৩ একর জমি দেয়। সেখানেও অপেক্ষা করে কিছু জমি বায়ুসেনার কাছ থেকে নিতে হয়। ওই জমিতে ক্যাট-২ ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বসে। পরে, বায়ুসেনা বিমান চলাচলের অনুমতি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy