মহকুমা মহারণ।
কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ সালে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ। সহকারী সভাধিপতি হন। ২০১৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন। তিনি আইনূল হক। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৮ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী। মহকুমা পরিষদের আরও দুটি ৭ এবং ৯ নম্বর আসন এই ব্লকেই।
এ বছর পরিষদের ভোটে সভাধিপতি ওবিসি সংরক্ষিত। আইনূল সেই ক্ষেত্রেও অন্যতম প্রার্থী বলে মনে করছে শাসক শিবিরের একাংশ। সে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার পথের কাঁটা হয়ে উঠেছে দলেরই বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী তথা ব্লক যুব সভাপতি আখতার আলি। যুবদের সঙ্গে নিয়ে তিনি চরকি পাক খাচ্ছেন ভোট প্রচারে। মিছিলেও লোক টানছেন।
ফাঁসিদেওয়া, চটহাট, জালাস নিজামতারা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে মহকুমা পরিষদের ৮ নম্বর আসটিই এখন অনেকের নজরে। দলগুলোর দাবি, এখানে সংখ্যালঘু ভোট ৩৬ শতাংশ। রাজবংশী ভোট ৪০ শতাংশ। চটহাট গ্রাম পঞ্চায়েতটি সংখ্যালঘু-প্রধান। তৃণমূলের গড়। সেই ভোটেই থাবা বসিয়েছে দলের বিক্ষুব্ধ যুবনেতা আখতার।
বৃহস্পতিবার আখতারের দাবি, ‘‘দলের যোগ্যদের প্রার্থী করা হয়নি। স্বজনপোষণ হয়েছে। সে কারণে নির্দল প্রার্থী হয়েছি।’’ অন্যদিকে, আইনূলের পাল্টা দাবি, ‘‘আখতারের সঙ্গে লোক নেই। মনোনয়ন জমার দিন তৃণমূলের কিছু লোক তাঁর সঙ্গে ছিল। তারা বুঝতে পেরে এখন আর সঙ্গে নেই।’’ তবে নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। আর তাই আইনূলের সমর্থনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাবিনা ইয়াসমিন, ইটাহারের বিধায়ক মোসারফ হোসেনদের এনে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী প্রাণগৌরাঙ্গ দেবনাথের প্রচারে এলাকার বিধায়ক দুর্গা মূমূ এবং শেষ প্রচারে জোর দিতে দিলীপ ঘোষও এসেছেন। কংগ্রেসের শ্যামল মণ্ডলের পতাকা, ব্যানার অবশ্য বেশি চোখে পড়ছে না। বামেরা তাঁকে সমর্থন জানিয়ে মহকুমা পরিষদের একমাত্র এই আসনে প্রার্থী দেয়নি।
ব্লকের ৭ এবং ৯ নম্বর আসনে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক বেশি। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইককে এনে প্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। ৭ নম্বর আসনটি হেটমুড়ি সিংহিঝোড়া এবং ঘোষপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে। এই আসনে ১৪ টি চা বাগান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে অনেকেই শাসক শিবিরে ঝুঁকেছে। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কুমুদিনী বরাইক। বিজেপির জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মণ, এলাকার বিধায়ক দুর্গা মূর্মূর দাবি, এই আসনে তাদের প্রার্থী রেনু যাদব মানুষের সমর্থন পাবেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy