সমীক্ষা বিভ্রাটকেই দায়ী করছেন প্রশাসনের আধিকারিক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানেরা। —ফাইল চিত্র।
জেলার অন্তত আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস প্রাপকের তালিকা শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে! গ্রাম পঞ্চায়েতে যত বাসিন্দা তার এক বা দুই শতাংশ বাসিন্দার নামও আবাসের তালিকায় আসেনি এমনও উদাহরণ রয়েছে জলপাইগুড়িতে। এর নেপথ্যে সমীক্ষা বিভ্রাটকেই দায়ী করছেন প্রশাসনের আধিকারিক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানেরা।
জলপাইগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস প্রকল্পে নাম এসেছে মাত্র ১০১ জনের। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত যেটি বর্তমানে পুরসভা ঘোষণা হয়েছে সেখানে নাম এসেছিল ১০৬ জনের। আংরাভাষা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ২৯৪ জন, শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩১৬ জন, শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০৯ জন, মাধবডাঙা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২৪, খড়িয়াতে ৯৭, আংরাভাষা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১৭, ডাবগ্রাম ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩৩ জনের নাম এসেছে। জলপাইগুড়ি জেলার অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের তালিকায় বিপুল সংখ্যক নাম এসেছে। কোথাও সাড়ে তিন হাজার নামও এসেছে। প্রশাসনের তরফে আবাসের সমীক্ষাকেই দায়ী করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের তালিকায় কম নাম থাকার প্রসঙ্গে দাবি করা হয়, যে মোবাইলে সমীক্ষা হয়েছিুল সেটি জলে পড়ে সব তথ্য নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও একই রকম যুক্তি শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে। জলপাইগুড়ির একটি ব্লকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালের সমীক্ষায় কারা আবাস পাবেন সে সব ‘জিয়ো ট্যাগিং’ করতে হয়েছিল, সে সময়ে অনেক এলাকায় নেটওয়ার্ক ছিল না সে কারণে সমীক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে।
কোথাও দাবি করা হয়েছে, গ্রামে সমীক্ষা হয়েছিল যে মোবাইলে সেখান থেকে পরে তথ্য মেলেনি। জলপাইগুড়ি জেলায় আবাস প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৭৯ হাজার নাম এসেছে। বিপুল সংখ্যক নাম এলেও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাপকের তালিকা শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান রাম কুমার দত্ত বলেন, “চার বছর আগে সমীক্ষা হয়েছিল। আমাদের জনসংখ্যা পনেরো হাজারেরও বেশি, অথচ নাম এসেছে সামান্য। তখনই ভুল কিছু হয়েছিল, এখন আমরা কিছু বলতে পারব না।” জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে সমস্ত যোগ্যরাই ঘর পাবেন। পরে নির্দেশ মতো সমীক্ষা করে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy