পাহারা: শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
শহরের যে ওয়ার্ডগুলিতে করোনা সংক্রমণ সব থেকে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড, চম্পাসারি এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ওয়ার্ডগুলির প্রধান রাস্তায় পথবাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়ি চলাচল ও লোকজনের ঘোরাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে নেমে পড়ে পুলিশ।
একই ভাবে ২৮, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডেও বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করে পথে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ফল যা হওয়ার তাই হল। এ দিন পাঁচটা থেকে শহরের ৯টি ওয়ার্ড বা কনটেনমেন্ট জ়োনে পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পুলিশের জালে পড়লেন ১৯ জন। এই তৎপরতা দেখে অনেকেই বলছেন, মার্চ-এপ্রিল মাসে লকডাউনের গোড়ার দিকের ছবিটাকে উস্কে দিয়ে ফের সক্রিয় হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। যদি এই চাপ বজায় রাখা যায়, তা হলে লকডাউন সফল হবে। এবং তা হলেই শিলিগুড়িতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
এ দিন সকাল থেকেই প্রশাসনের মধ্যে তৎপরতা দেখা যায়। সকালেই কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে লকডাউন নিয়ে মাইকিং শুরু হয়। বাসিন্দাদের জানানো হয়, দোকানপাট থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ। বাড়ির বাইরে অকারণে ঘোরাফেরা করা চলবে না। আইন ভাঙলে মহামারি আইনে মামলার কথাও পুলিশ জানিয়ে দেয়। পুলিশকর্তারা জানান, অনেকে ভাবেন, ধরা পড়লে তো পরে জামিন মিলবে। তা হলে সমস্যা কোথায়? কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওই মামলা আদালত অবধি গড়াবে। তাই জামিন হলেও পরে আদালতে হাজিরার বিষয় থাকতেই পারে। এ সব মাথায় রেখেই করোনা মোকাবিলায় আইন পালন করাটা জরুরি।
তবে এত কিছুর পরেও আইন ভাঙার প্রবণতা সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তাদেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৪৬, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বা চম্পাসারি এলাকায় অফিস, মোটরবাইকের শোরুম থেকে খাবারের দোকান খোলা রাখার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তবে এ দিন সন্ধ্যার বৃষ্টি লকডাউনে অনেকটাই সাহায্য করেছে। রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে গেলে দোকানপাট এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে ৪, ৫ বা ২৮ নম্বর ওয়ার্ডেও একটা সময় জামা-কাপড়ের দোকান, কেকের দোকান, একাধিক মোটরবাইকের শোরুম, লস্যির দোকান, চা-পান এবং লটারির দোকান খোলা রাখতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঝংকার মোড় থেকে টিউমলপাড়ার দিকে রাস্তায় দোকানের একটা পাল্লা খুলেও দোকান চলেছে বলে দাবি। সন্ধ্যা ৭টায় গিয়ে পুলিশ ঝংকার মোড় বাজার বন্ধ করে। তুলনায় প্রধাননগরের ২, ৪৬ এবং ভক্তিনগর থানার ৩৭, ৩৮, ৩৯ এবং ৪৩ নম্বরে কিছুটা ভাল লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে ফাঁকফোকরও কিছু ছিল।
আজ, শুক্রবার সকাল থেকে কনটেনমেন্ট জ়োনে ঘুরে ঘুরে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবে বলে আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রকম আইন ভাঙা চলবে না। প্রতিটি থানাকে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy