—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মার্চের শেষে আচমকা আছড়ে পড়া ‘টর্নেডো’র ক্ষত এখনও কাটেনি। এ বার শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ল আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক এলাকা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আলিপুরদুয়ার। জেলার কুমারগ্রাম ব্লকে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার বাড়ি। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ছয়শো বাড়ি। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটেও তিনশোর উপর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার রাতে আচমকাই ঝড়ো হাওয়া-সহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু এলাকায়। আচমকা এমন শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক, কুমারগ্রাম, চ্যাঙমারি, তুরতুরিখণ্ড ও খোয়ারডাঙা এলাকায়। একই ভাবে আতঙ্ক ছড়ায় আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমার ১ ও ২ এবং ব্লকের মথুরা এলাকায়। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক এলাকা। শিলাবৃষ্টিতে ব্লকের যে সংখ্যক ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তার অর্ধেকই ওই এলাকার। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকে যে প্রায় ছয়শো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই শালকুমার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে এ দিন পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক (আলিপুরদুয়ার) বিপ্লব সরকার।
কুমারগ্রামের বিডিও গৌতম বর্মণ বলেন, “মঙ্গলবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে ব্লকের কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তেরা যাতে প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা পান, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, এই শিলাবৃষ্টিতে কুমারগ্রাম ব্লকে শতাধিক বাড়ির পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে।
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া এক গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া, প্রধানপাড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকাও। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, শিলাবৃষ্টিতে তিনশোর উপরে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কোনও সহযোগিতা করা যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষিজমিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেকটাই। স্থানীয় একটি কৃষক জানান, শিল পড়ে ঝিঙের খেত নষ্ট হয়েছে। প্রত্যেকেই সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই। মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। আমরা চাইলেও কিছু করতে পারছি না। বিডিওকে সমস্ত বিষয় জানিয়েছি, যাতে প্রশাসনিক ভাবে সাহায্য করা যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy