দুই প্রতিবেশীর বিবাদের জেরে এক বধূকে বিবস্ত্র করে মারধর ও এক কিশোরীকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। কিশোরীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। জমি দখলের জন্য বিহার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে হামলা হয়েছে বলে দাবি। এর জেরে রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগর এলাকা।
জানা গিয়েছে, মাথায় হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর জখম হয়েছে কিশোরী। লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বধূর। রাতে দু’জনকেই প্রথমে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে তাঁদের। সোমবার বিকেল পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ বিষয়টি দেখছে। তবে এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ কাঠা জমি নিয়ে দুই প্রতিবেশী প্রমোদ মন্ডল ও ভোলা মন্ডলদের বিবাদ চলছিল কয়েক মাস ধরে। জমিটি ভোলাবাবুর তিন বোন তাঁর কাছে বিক্রি করেছেন বলে দাবি কাঠ চেরাই মিলের মালিক প্রমোদবাবুর। এ দিকে জমি বিক্রি অবৈধ বলে দাবি করে চাঁচল মহকুমা আদালতে মামলাও করেছেন ভোলাবাবুরা। রবিবার প্রমোদবাবু জমিটি ঘিরে ফেলার চেষ্টা করায় দু’পক্ষের তুমুল বিবাদ বাধে।
অভিযোগ, রাতে ভোলাবাবু ফুলহার নদীর ওপারে বিহার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে প্রমোদবাবুর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী অনিতাদেবীকে বিবস্ত্র করে মারধর করে। লোহার রড দিয়ে অনীতাদেবীর মাথায় মারা হয়। পাল্টা অভিযোগ, প্রমোদবাবুর ছেলে দলবল নিয়ে ভোলাবাবুর বছর পনেরোর মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে।
প্রমোদবাবু বলেন, ‘‘বাড়িতে ঢুকে একা পেয়ে আমার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ওরা মারধর করে।’’ অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে ভোলাবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে ওরাই মেয়ের উপরে হামলা চালায়। হাসপাতাল থেকে ফিরলেই অভিযোগ জানাব।’’ দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবুল কাশেম বলেন, ‘‘জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ ছিল। এ দিন মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy