প্রতীকী ছবি।
দূরত্ব শুধু একটা ফোনের। বাড়িতে বসেই মিলবে পছন্দের খাবার। রসনা মেটাতে যেতে হবে না রেস্তোরাঁতেও। এমনই ব্যবস্থা দেশের অনেক শহরেই চালু হয়েছে। এ বার তা এসেছে শিলিগুড়িতেও।
দেশের অন্য ‘মেট্রো’ শহরের মতোই শিলিগুড়িতেও এখন বাসিন্দারা পছন্দসই রেস্তোরাঁর খাবার বাড়িতে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। শহরবাসীর সেই খাবার পেয়ে পৌঁছে দিচ্ছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। মাস চারেক আগে একটি সংস্থা এই পরিষেবা চালু করেছিল। এখন শহরে অন্তত তিনটি সংস্থা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই পরিষেবা দিচ্ছে।
এতদিন হাতেগোনা কয়েকটি নামী রেস্তোরাঁ ‘হোম ডেলিভারি’ করত। কিন্তু ন্যূনতম দামের খাবার না নিলে সেই পরিষেবাও পাওয়া যেত না। ফলে অসুবিধেয় পড়তেন অনেকেই। এখন অবশ্য এক প্যাকেট বিরিয়ানি চাইলেও বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। এক দোকানের বিরিয়ানি আর অন্য দোকানের মাংসের চাঁপ চাইলে, তাতেও সমস্যা নেই।
এরকমই একটি সংস্থার কর্ণধার ববিতা দাস বলেন, ‘‘যে দোকান আপনার পছন্দ, সেটা বাড়িতে খাবার পৌঁছয় না। আবার কোনও রেস্তোরাঁ ন্যূনতম ৫০০ টাকার অর্ডার দিলে তবেই খাবার ডেলিভারি দেবে। এই সমস্যার সেতু বন্ধনই করছি আমরা।’’ দিল্লি, কলকাতায় এমন পরিষেবা চলছে অনেকদিন ধরেই। ববিতা-র কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গে এই পরিষেবা আমরাই শুরু করেছি।’’ শিলিগুড়ির ৫০টিরও বেশি রেস্তোরার খাবার পৌঁছে দেয় সংস্থাটি।
ওয়েবসাইট, ফোন এমনকী সোশাল নেটওয়ার্ক সাইট থেকেও এই সংস্থার কাছে খাবার চাওয়া যায়। এর জনপ্রিয়তা দেখে আরও দু’টি সংস্থা পরিষেবা শুরু করেছে। আরেকটি সংস্থার কর্ণধারের কথায়, ‘‘এখন পরীক্ষামূলক ভাবে চালাচ্ছি। ভাল সাড়া মিলেছে।’’
এই পরিষেবার জন্য, বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে কিছু ফি নেয় সংস্থাগুলো। সেই ফি দূরত্ব অনুযায়ী হয়। ববিতার কথায়, ‘‘এক প্যাকেটের জন্য যে টাকা দিতে হয় দশ প্যাকেটের জন্যও তাই।’’ এই পরিষেবায় খুশি শহরের খাদ্য রসিকরা। হাকিম পাড়ার বাসিন্দা রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এই পরিষেবা দেখেন তিনি। এ দিন বলেন, ‘‘এখন আমার শহরেও তা মিলছে। বাড়িতে বসে একসঙ্গে দু’টি দোকানের বিরিয়ানি এবং চাইনিজ পেয়ে গেলাম।’’ শীতের উৎসবের মরসুমে শিলিগুড়ির খাদ্য রসিকদের কাছে এই পরিষেবা বাড়তি পাওনা, জানাচ্ছেন শহরবাসীদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy