Advertisement
E-Paper

কবে মিলবে বরাদ্দ, অপেক্ষায় স্থলবন্দর

এমন পরিস্থিতিতে এ বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অপেক্ষা: হিলি চেকপোস্টে ট্রাকের লাইন। নিজস্ব চিত্র

অপেক্ষা: হিলি চেকপোস্টে ট্রাকের লাইন। নিজস্ব চিত্র

অনুপরতন মোহান্ত 

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৮
Share
Save

উন্নত পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দর (ল্যান্ড পোর্ট)। অভিযোগ, সেখানে ভিন্‌ রাজ্য থেকে পণ্য নিয়ে আসা লরি ও ট্রাক চালকদের থাকাখাওয়ার ব্যবস্থা নেই, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র নেই, নেই অন্য অনেক পরিকাঠামোও।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বহির্বাণিজ্যে আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত ওই স্থলবন্দর তৈরির জন্য ২০১২ সালে প্রথম দফায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন ও বহির্বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে হিলিতে জমিও দেখা হয়। অভিযোগ, এর পরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। ফলে গত ৮ বছর ধরে প্রকল্পের কাজ একটুও এগোয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে এ বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতি দিন বাংলাদেশে শতাধিক ট্রাকে পণ্য ও পাথর রফতানি হয়। বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় অশোধিত ভোজ্য তেল এবং চিটাগুড়। সরকারি সূত্রে খবর, ২০১০ সালে সীমান্তবর্তী ১৩টি জেলায় বহির্বাণিজ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় হিলিতেও কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বরাদ্দ করে।

সম্প্রতি ‘হিলি কাস্টমস অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের’ পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ওই বাণিজ্য বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হতে আবেদন করা হয়।

জেলা ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে খবর, হিলি সীমান্তের বৈকুণ্ঠপুরে ৩ একরের বেশি জমি চিহ্নিত করে স্থল বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একই ছাতার তলায় ট্রাক টার্মিনাস, হোটেল, চালকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, শুল্ক দফতর, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, অভিবাসন দফতর, গুদাম-সহ অন্য পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। নয়াদিল্লি থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ফাইল বিনিময়ও হয়। কিন্তু ওই প্রকল্পের কাজ এগোয়নি।

উক্ত সংগঠনের সম্পাদক উদয় বর্মণ জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে রোজ গড়ে দেড়শো পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে যায়। ফি বছর অন্তত ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারের আয় হয়। কিন্তু পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। স্থলবন্দরের উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’’

Budget 2020 Hili Land Port

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}