জয়গাঁয় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
ডেঙ্গির মশার বংশবৃদ্ধি রোধে জয়গাঁয় এ বার বল প্রয়োগের পথে আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বারবার সচেতন করার পরও কেউ বাড়িতে জল জমিয়ে রাখলে মোটা টাকা জরিমানা করার ভাবনা দফতরের কর্তাদের। একই সঙ্গে বন্ধ বাড়ি ও বন্ধ গ্যারাজের জমা জল নষ্ট করতে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা। বুধবার এই বিষয়গুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে প্রস্তাবও দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
জয়গাঁয় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সরকারি ভাবে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। বেসরকারি ভাবে অবশ্য মৃত্যু সংখ্যা আরও বেশি। জয়গাঁতে মারাত্মক আকার নেওয়া ডেঙ্গির প্রকোপ ঠেকাতে সপ্তাহে একদিন করে এলাকার সর্বত্র জমা জল ফেলে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে এই কর্মসূচিতে প্রশাসনের সে ভাবে যুক্ত না হওয়ার অভিযোগ নিয়ে গত সপ্তাহেও স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। তবে বুধবার জয়গাঁতে এই কর্মসূচি সফল করতে স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন। সকাল সকাল জয়গাঁতে পৌছে যান আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জল জমিয়ে না রাখতে বাসিন্দাদের পরামর্শও দেন তাঁরা।
তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিনের অভিযানেও বেশ কিছু বাড়িতে জমা জলে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। অনেক জায়গায় অভিযানে যোগ দেওয়া কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। এমনকি দরজা বন্ধ থাকায় বেশ কিছু বাড়ি ও গ্যারেজে এদিন ঢুকতেই পারেননি কর্মীরা। এতেই ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বিষয়গুলি নিয়ে এ বার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটতে চাইছেন।
আলিপুরদুয়ার জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘অন্যের জীবন বিপন্ন করার অধিকার তো কারও নেই। সে জন্যই জয়গাঁতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় এবার আমরা কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবছি। বারবার বলা সত্ত্বেও যাঁরা বাড়িতে জল জমিয়ে রাখছেন, তাঁদের জরিমানা করার কথা যেমন ভাবা হচ্ছে, তেমনই দরজা বন্ধ থাকা বাড়ি বা গ্যারাজে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’’ বিষয়গুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এদিন জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরকেও আর্জি জানান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু সেই বিষয়গুলি নিয়ে কি নিয়ম বা আইন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে পুলিশের তরফে স্বাস্থ্য দফতরকে সব সময়ই সহযোগিতা করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বলেন, ‘‘জয়গাঁতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় জেলা পরিষদের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy