Advertisement
E-Paper

স্বাগত পতাকায় ‘পথে হল দেরি’

রেল বোর্ডের অনুমোদনেই স্থির হয় উদ্বোধনী যাত্রার সূচি। প্রধানমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনের পরে দুপুর ১২টায় গুয়াহাটি থেকে ছাড়ার কথা ছিল।

গুয়াহাটি থেকে ‘বন্দে ভারত’ পৌঁছল এ রাজ্যে। সোমবার। ছবি: নারায়ণ দে ।

গুয়াহাটি থেকে ‘বন্দে ভারত’ পৌঁছল এ রাজ্যে। সোমবার। ছবি: নারায়ণ দে ।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ০৭:৫৮
Share
Save

গুয়াহাটি থেকে ছাড়তেই গুয়াহাটি-এনজেপি বন্দে ভারতের ৪৫ মিনিট দেরি হয়ে গেল। পুরো রাস্তায় তা আর পুষিয়ে উঠতে পারল না ট্রেনটি। রেল সূত্রের দাবি, প্রথম বার আনুষ্ঠানিক যাত্রায় যাতে তাল না কাটে, তা নিশ্চিত করতে ট্রেনটিকে অনেকটাই কম গতিতে চালানো হয়েছে। এ দিন মোটের উপর ৬৯ কিলোমিটার গড় গতিবেগ বজায় রাখে আট কামরার ট্রেনটি। সন্ধে ৬টায় এনজেপি ঢোকার কথা থাকলেও তা ঢুকতে ৭টা বাজিয়ে দেয় বন্দে ভারত। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা ট্রেনটিকে স্বাগত জানাতে থাকেন। সে জন্যেই দেরি হয় বলে রেল সূত্রের দাবি। যদিও আধিকারিকদের দাবি, উদ্বোধনী যাত্রার পুরো পথ নির্বিঘ্নেই কেটেছে।

রেল বোর্ডের অনুমোদনেই স্থির হয় উদ্বোধনী যাত্রার সূচি। প্রধানমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনের পরে দুপুর ১২টায় গুয়াহাটি থেকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু খোদ রেলমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত, সেখানেই ছাড়তে দেরি করল বন্দে ভারত। প্রায় ৪৭ মিনিট দেরিতে গুয়াহাটি থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। তার ফলে পুরো রাস্তায় কোথাও দেড় ঘণ্টা, কোথাও দু’ঘণ্টা দেরি হয় নির্দিষ্ট সূচি থেকে। নিউ আলিপুরদুয়ার এবং নিউ কোচবিহারেও ট্রেনটি যথারীতি সময়ে ঢুকতে পারেনি।

এ দিন রেলের তরফেই গুয়াহাটি এবং এনজেপির মাঝে ১০টি স্টপে ট্রেনটিকে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল রেল। কিন্তু প্রতিটি স্টেশনেই বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা পতাকা নিয়ে ট্রেনের স্বাগত কর্মসূচি পালন করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, তা করতে গিয়েই ট্রেনটি দেরি হয়ে যায়। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ট্রেন নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতেরও সময় গোলমাল হয়েছিল এক কারণে। যাত্রীদের ক্ষেত্রে যেন এটা না হয়।’’

যদিও ট্রেনের দেরি হয়েছে বলে না মেনে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘যে যতক্ষণ ট্রেনটি দেখতে চায়, দেখানো হয়েছে।’’ ট্রেনটি এনজেপি ঢোকার পর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, ‘‘দেরি কিছুটা হয়েছে, কিন্তু এ সবে নজর না দিয়ে এই এলাকার জন্য মোদীজির পরিকাঠামো উন্নয়নটাকে বড় করে দেখা উচিত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Vande Bharat Express guwahati

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}