রবিবার মিরিকে চা সুরক্ষা সমিতির প্রজাপাট্টা বিরোধী মিছিল। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের আগে পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের জমির বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে সরকারি স্তরে। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা এ নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। শনিবার কালিম্পঙের মেলা গ্রাউন্ডে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দু’বছর পূর্ণ হওয়ার পর তৃতীয় বছরের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। সেখানেই অনীত ও দলের অন্য নেতারা সতর্ক করেন, বিভিন্ন বিষয়ে চা শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে পাহাড়ে আবার গোর্খাল্যান্ড দাবির সময়ের মতো অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে। অনীত বলেন,
‘‘আলা্দা রাজ্য গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বছর পর বছর রাজনীতি করায় সেটা আমাদের কাছে স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। পাট্টা নিয়েও এখন সেটাই হচ্ছে। বিরোধী রাজনীতি করার জন্য পাট্টা নিয়ে শ্রমিকদের ভুল বোঝানো চলছে।’’
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা জানান, জিটিএ, পঞ্চায়েত ভোটে হারের পর লোকসভার আগে নতুন করে ষড়়যন্ত্রের বীজ তৈরি হচ্ছে। শ্রমিকদের মধ্যে বাস্তু ও কৃষি জমি কেড়ে নেওয়ার অপপ্রচার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই বাগানের সরল শ্রমিকেরা বিশ্বাসও করতে শুরু করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি অনীত, সচিব অমর লামা থেকে বিধায়ক রূদেন সাদা লেপচা চা শ্রমিকদের কাছে
এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক হওয়ার আবেদন রাখেন। রবিবার দলীয় বৈঠকে বাগানের বাগানে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন দুপুরে পাল্টা বিরোধীদের চা শ্রমিকদের সুরক্ষা মঞ্চ মিরিক শহর জুড়ে পাট্টা বিলির বিরোধিতায় মিছিল করে। সেখানে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, গোর্খা লিগ নেতা প্রতাপ খাতিরা ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, সরকার এবং পাহাড়ের শাসক দল শ্রমিকদের ৫ ডেসিমেল জমি দিয়ে বাকিটা কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অজয় বলেন, ‘‘শ্রমিক-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে পাহাড়ে শ্রমিকদের এক জোট করে লড়াই চলবে।’’
এ ব্যাপারে অনীত বলেন, ‘‘প্রত্যেক শ্রমিক পরিবার পিছু ৫ ডেসিমেল করে জমির পাট্টা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন তো অনেকেই ১-২ ডেসিমেল জমিতে থাকেন। আর কারও জমি যাতে কাড়া না হয়, তা দেখার দায়িত্ব তো আমাদের।’’ সেই সঙ্গে শ্রমিকদের চাষাবাদের কৃষি জমির পাট্টা নিয়েও সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জিটিএ প্রধান জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের পর থেকে নেতানেত্রীগের বাগানে বাগানে যাওয়ার কথা বলেছেন প্রজাতান্ত্রিক সভাপতি।
যদিও গত শুক্রবার নামরিং চা বাগানে বিরোধী চা শ্রমিক নেতাদের উপর শাসক দলের নেতা কর্মীরা ৫ ডেসিমেল পাট্টা বিরোধী প্রচারের সময় হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার ও তাদের পাহাড়ের সঙ্গীরা শ্রমিকদের ৫ ডেসিমেল জমি দিয়ে বাকি চা জমি মাফিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন। চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের পাট্টার জন্য বলা হচ্ছে। সবাই মিলে এর প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy