Advertisement
E-Paper

শহর চায়, সবুজ বাড়ুক

অনেকেই বিকেলে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে পার্কগুলিতে যান। খেলা, আনন্দ হয়। প্রবীণরা প্রাতর্ভ্রমণ করতেন, বিশ্রাম নিতেন। অভিযোগ, অনেক শিশু উদ্যান এবং পার্ক নিয়মিত সাফাই হয় করা না।

সবুজে ঘেরা উদ্যান।

সবুজে ঘেরা উদ্যান। ছবি: স্বরূপ সরকার।

নীতেশ বর্মণ

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৩
Share
Save

শহরে ক্রমেই বাড়ছে বহুতল, বাড়ি। বাড়ছে ইট-কংক্রিটের জঙ্গল। তার মাঝে এক টুকরো সবুজ খুঁজে পেতে যেন হন্যে হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। শিশু উদ্যান বা পার্ক সবুজের স্পর্শ দেয়। বিশুদ্ধ বাতাসের চাহিদায় সেই উদ্যানগুলিই যেন আরামের। অভিযোগ, শিলিগুড়ি শহরে দিন দিন তার বড় অভাব তৈরি হচ্ছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে ছোট-বড় ৩৫টি পার্ক রয়েছে। অভিযোগ, অনেকগুলিরই বেহাল দশা। কোনওটিতে বসার জায়গা, খেলার সরঞ্জামগুলি ভেঙে পড়ে রয়েছে। কোথাও গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। নতুন গাছ না লাগানোর ফলে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে কিছু পার্কে। তাতে সমস্যায় পড়ছেন শিশু, কিশোর থেকে প্রবীণেরাও।

অনেকেই বিকেলে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে পার্কগুলিতে যান। খেলা, আনন্দ হয়। প্রবীণরা প্রাতর্ভ্রমণ করতেন, বিশ্রাম নিতেন। অভিযোগ, অনেক শিশু উদ্যান এবং পার্ক নিয়মিত সাফাই হয় করা না। সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে কতগুলি। জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের ছোট শিশু উদ্যানগুলিও।

শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের বাড়ির পাশে, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যান সংস্কারের অভাবে বন্ধ থাকার অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার কাউন্সিলর তথা তিন নম্বর বরো চেয়ারম্যান মিলি সিংহ সংস্কার করে নিয়মিত পার্ক খোলার আশ্বাস দিয়েছেন। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদ নগরের পার্কেরও বেহাল দশা। সন্ধ্যা হলেই মদ, জুয়ার আসর বসে বলে অভিযোগ খোদ মেয়র পরিষদ দিলীপ বর্মণের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পার্কে পাঁচিল দেওয়ার টেন্ডার হবে শুনেছি। এখনও খোঁজ নেই। নোংরা হয়ে রয়েছে।’’ ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রথখোলার পাশে পার্ক জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে। খেলনা ভাঙা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। কাউন্সিলর দীপ্ত কর্মকার বলেন, ‘‘কর্মীর অভাবে পার্কগুলির যত্ন নেওয়া যাচ্ছে না।’’ অভিযোগ, সেখানকার বিধানচন্দ্র রায় শিশু উদ্যানের কাজও বন্ধ।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে পুরসভার দু’টি বড় পার্ক রয়েছে। সেই দু’টি পার্কে টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। তা থেকে আয় করে পুরসভা। ফলে ওই দু’টি পার্ক নিয়মিত সংস্কার করা হয় বলে দাবি। কিন্তু বাকিগুলিতে বিনা খরচে ঢোকা যায়। টিকিটের ব্যবস্থা নেই। সেগুলিরই সংস্কারে অভাব বলে অভিযোগ।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘এ ভাবেই সবুজশূন্য হচ্ছে প্রিয় শহর। দেখভালের অভাবে পার্কগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এক সময় সেখানেই হয়তো দেখা যাবে বড় বহুতল তৈরি হচ্ছে। পুরসভার উচিত, শহরকে বাঁচাতে সবুজ ফেরানো।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri park

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}