তুতো দাদার জন্যই পছন্দের তরুণীর সঙ্গে ‘প্রেম’ হয়নি। পরে সেই তরুণীর বিয়েও হয়ে গিয়েছিল অন্যত্র। সেই রাগে তুতো দাদাকে ১৮ বার কুপিয়ে খুন করেছিলেন ভাই। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল দাদার হার্ট, কিডনি, লিভার! বছর চারেক আগের সেই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত ভাই সুরেশ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত।
জলপাইগু়ড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভক্তিনগর থানার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা সুরেশ। তাঁর বিরুদ্ধে তুতো দাদা শঙ্কর রায়কে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। শঙ্করও শান্তিনগর এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্করের প্রতিবেশী এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল সুরেশের বিরুদ্ধে। তরুণীর পরিবারের লোকেরা এই বিষয়টি শঙ্করকে অভিযোগ জানানোর পর তিনি সুরেশকে বকাঝকা করেন। তখনকার মতো সমস্যা সেখানেই মিটে যায়। এর পরে সুরেশ জানতে পারে, তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এর পরেই তিনি ২০২১ সালের মার্চ মাসের এক সকালে শঙ্করের উপর চড়াও হন। শুরু হয় বচসা। সেই সময়েই তিনি শঙ্করকে কুপিয়ে খুন করেন।
সরকারি আইনজীবী শুভঙ্কর চন্দ্র বলেন, ‘‘এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। উভয় পক্ষের কথা শোনার পর অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় আজ এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসীর সাজা দিলেন।’’
এই মামলায়ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইড ডিফেন্স কাউন্সিলের ডেপুটি চিফ ভানুসিংহ সরকার বলেন, ‘‘আমাদের বক্তব্য আদালতের কাছে বলেছি। আদালত অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হব। কারণ এই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’’