ক্ষোভ: গৌড়বঙ্গে দাবি নিয়ে পড়ুয়ারা। নিজস্ব িচত্র
ফল প্রকাশের দাবিতে ঘেরাও আন্দোলন হয়েছে অনেক। আবার ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘেরাও শুরু হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। খারাপ ফলের প্রতিবাদে।
বুধবার বিকেলে ফলাফল নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন বিষয়ে গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে। খাতার মূল্যায়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এ দিন মালদহ এবং মহিলা কলেজের দু’ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ঘেরাও আন্দোলন চালিয়ে যান। পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক শ্যামাপদবাবু আশ্বাস দেওয়ার পরেও আবার খাতা দেখার দাবিতে ঘেরাও আন্দোলন চালিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। শ্যামাপদবাবু বলেন, “ফলাফল সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে লিখিত ভাবে তা জানাতে বলা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ জুন প্রথম বর্ষের এবং ১০ অগষ্ট দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়। ১০৫ দিন পরে মঙ্গলবার বিকেলে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ হয়। যদিও গত বছরগুলিতে ৬০ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল। এজেন্সির মাধ্যমে মার্কশিট তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্থিক নানা টানাপড়েনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি করছিল এজেন্সি। এর প্রতিবাদে লাগাতার ছাত্র আন্দোলন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকী, আন্দোলনের চাপে ইস্তফা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র।
ফলাফল প্রকাশে দেরির পাশাপাশি এ বার অনার্স ও পাশ বিভাগে পাশের হারও কমেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে। এ বার অর্নাসে প্রথম বর্ষে পাশের হার ৬৫.৫১ শতাংশ। যা আগের বছর ছিল ৭৪.০৮ শতাংশ। আগের বছর পাশ বিভাগে ৮৩.২৯ শতাংশ পাশের হার কমে দাঁড়ায় ৬৮.৭০ শতাংশে। একই ভাবে কমেছে দ্বিতীয় বর্ষের পাশের হারও।
এ দিন দুপুরেই কলেজ গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ফলাফল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মালদহ ও মহিলা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। মহিলা কলেজে প্রথম বর্ষে আবশ্যিক বাংলায় ৯০ শতাংশ ছাত্রীকে ৫০ এ গড়ে ১৭ করে নম্বর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দর্শন, ইতিহাস বিষয়েও গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগ তোলেন মালদহ কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। এক ছাত্র বলেন, ‘‘সমাজবিদ্যা বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। ভুলে ভরা ফলাফল নতুন করে প্রকাশের দাবিতেই এই আন্দোলন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy