শুনশান: গরুমারার প্রবেশদ্বার। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ভোর থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি। শাল, সেগুন, অর্জুনের বাকল চুইয়ে জল ঝরছে জঙ্গলের মাটিতে। অরণ্যের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা মূর্তি ও জলঢাকা টইটুম্বুর। অনায়াসে যে নদী বাইসনের দল টপকে যেতে পারে, তারাও পাড়ে দাঁড়িয়ে। তাদের দ্বিধাতেই স্পষ্ট, নদী কতটা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে।
এমনই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে বুধবার থেকে খুলে গেল উত্তরের গরুমারা-সহ সব ক’টি জাতীয় ও সংরক্ষিত অরণ্য, পর্যটকদের জন্য।
এ বছরে প্রথমে করোনার জন্য লকডাউন, তারপরে নির্ধারিত বর্ষার বন্ধ— সব মিলিয়ে ছ’মাস বন্ধ ছিল জঙ্গল। এ দিন ভোর ৬টায় প্রথম শিফট। তার জন্য পুরনো নিয়মেই ভোর ৫টায় কাউন্টার খুলে গেল। কিন্তু পর্যটকদের দেখা মেলেনি। মূর্তি কাউন্টার থেকে একটি জিপসি শুধু জঙ্গলের নীরবতা ভেঙে প্রথম গাছগাছালির ঘেরাটোপে প্রবেশ করে। বেলা যত গড়িয়েছে বৃষ্টি ততই বেড়েছে। তাই সকাল ৮টা বা বেলা ১১টার পর্যায়তেও পর্যটকেরা জঙ্গলমুখো হতে চান নি। তবে বেলা শেষে বৃষ্টি ধরে এলে সাড়ে তিনটের পর্যায়ে বেশ কিছু জিপসি গরুমারার যাত্রাপ্রসাদ ও চাপরামারির দিকে পর্যটক নিয়ে ছুটে গিয়েছে।
এ ভাবেই কাটল জঙ্গল খোলার প্রথম দিন। তবে বৃষ্টিতে দিন মাটি হলেও সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন বনকর্তারা। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন , “এদিন বৃষ্টির জন্যে সে ভাবে পর্যটকদের না পেলেও আকাশ পরিষ্কার হলেই পর্যটকদের যে আগমন ঘটবে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।” করোনা আবহে জঙ্গলে বেশ কিছু নিয়ম বদলালেও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে কাউন্টারে দাঁড়িয়েই টিকিট কাটতে হচ্ছে। জলদাপাড়াতে অবশ্য অনলাইন টিকিট কাটার সুযোগ মিলছে বলেই বন দফতরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy