Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গাড়ি থেকে উদ্ধার ১০ কোটির সোনা

গাড়ির সিটে লুকিয়ে রাখা বেল্টের মধ্যে মিলল ৩৫ কেজি সোনা। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর সূত্রে দাবি, সোনা উদ্ধারের সঙ্গে তিন পাচারকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৭
Share: Save:

গাড়ির সিটে লুকিয়ে রাখা বেল্টের মধ্যে মিলল ৩৫ কেজি সোনা। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর সূত্রে দাবি, সোনা উদ্ধারের সঙ্গে তিন পাচারকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। গত শনিবার রাতে শিলিগুড়ির কাছে ঘোষপুকুর থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দাদের আইনজীবী অজয় চৌধুরী বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা।’’

বাগডোগরা এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি গাড়িকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তার পিছু ধাওয়া করেন তাঁরা। ঘোষপুকুরের কাছে গিয়ে গাড়িটিকে আটকান তাঁরা। গাড়ির চালকের পাশের আসনের গদির নীচে রাখা কোমরের মোটা বেল্টের চারিদিকে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে আটকে রাখা ছিল। মোট দুটি এমন বেল্ট উদ্ধার হয়। একটিতে ২০টি এবং অন্যটিতে ১৫টি সোনার বিস্কুট লুকানো ছিল। এক একটি বিস্কুট এক কেজি ওজনের। প্রতিটি বিস্কুটই ২৪ ক্যারেট ও সুইজারল্যান্ডে তৈরি বলে লেখা রয়েছে বলে আইনজীবী জানিয়েছেন।

গোয়েন্দাদের আইনজীবী জানান, ধৃতদের নাম প্রমোদ দেবকোটা, বিকাশ শর্মা ও অনিল যাদব। এর মধ্যে প্রমোদ নেপালের ঝাপার বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি বাসিন্দা। অনিল গাড়ির চালক। এদের থেকে চারটি মোবাইল ও চারটি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি নেপালের সিমকার্ড। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সোনাগুলি ভুটান হয়ে ভারতের আলিপুরদুয়ারে জয়গাঁ সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢুকেছে বলে জেরায় জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সোনাগুলি সড়কপথে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি। গত বছর নভেম্বরে ৩৩কেজি সোনা ধরেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাই।

অন্য বিষয়গুলি:

Gold Ten Crores Recovered
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE