—প্রতীকী চিত্র।
আবার উত্তরবঙ্গে নাবালিকাকে যৌন অত্যাচারের অভিযোগ। এ বার এক আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর মৌলানি জোত ট্রাক টার্মিনাসে। রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দুধের শিশুটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এলাকার দোকানগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা ছিল। দোকানদার এবং ট্রাকচালকেরা পুজোর আনন্দে মেতে ছিলেন। রাত খানিকটা বাড়লে ধীরে ধীরে ট্রাক টার্মিনাস থেকে ভিড় কমে যায়। ওই টার্মিনাসের ঠিক পিছনে এক শ্রমিক পরিবারের বসবাস। স্বামী-স্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করেন। দম্পতির এক ছেলে এবং এক কন্যা রয়েছে। সোমবার দুই ভাইবোনকে পাশের মন্দিরের চাতালে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন মা। অভিযোগ, রাতের বেলা সেই আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে চলে যায় এক গাড়িচালক। ট্রাক টার্মিনাসে দাঁড়ানো গ্যাস ট্যাঙ্কারের পিছনে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে যৌন অত্যাচার করে সেখানেই ফেলে চলে যায় অভিযুক্ত। শিশুটির বাবা-মা বহু খোঁজাখুঁজির পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আঁতকে ওঠেন। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বেশ কয়েক জন দোকানদার ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি শিশুটিকে ভর্তি করানো হয় ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু নির্যাতিতা শিশুটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক ট্যাঙ্কার চালককে গ্রেফতার করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুবল মণ্ডল। তার বাড়ি বর্ধমানে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করে ওই টার্মিনাসে জড়ো হন স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয় তাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy