কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে লিখিত ভাবে বক্তব্য জমা দিতে আরও তিন দিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, ‘‘আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না।’’ বুধবারের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে অভিষেককে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টের সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্য দিকে, আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে জানায়, নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই তাঁর। কারণ, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। এবং এ যাবৎ সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালনও করেছে। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে। গত বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়। এর আগেও তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কী ভাবে ইডি নতুন সমন পাঠাতে পারে? সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপেকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। শুধুমাত্র লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন করা হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।
পাল্টা ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। তা হলে তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্নই বা আসছে কোথা থেকে? অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁর হাজিরা দেওয়া কথা। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়। সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? এর পরে বিচারপতি ঘোষ জানান, এত দিন ধরে মামলা চলছে। মৌখিক ভাবে রক্ষাকবচ দেওয়া রয়েছে। এখন এ নিয়ে আর কোনও নির্দেশ দেবে না আদালত। একই সঙ্গে বিচারপতি জানান, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পক্ষ লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে আদালতে। ইডি লিখিত জবাব দিলেও অভিষেক সময় চেয়েছেন তিন দিন। বিচারপতি যদিও তা মানেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy