—প্রতীকী চিত্র।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন প্রেমিকা। খাস কলকাতার হরিদেবপুরের এই ঘটনায় মঙ্গলবার মৃত্যু হল মাঝবয়সি মহিলার। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সম্পর্কের টানাপড়েন।
সোমবার রাতে হরিদেবপুুরের ব্যানার্জিপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে রাত ৮টা নাগাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময়েই তাঁদের কাছে অভিযোগ আসে। ১০০ ডায়াল করে জানানো হয় ঘটনাটির কথা। এর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করেন ওই মহিলাকে। নিয়ে যায় হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার বয়স ৪৪-৪৫ বছর। আগুন পুড়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়। পুলিশকে তিনি জানান, সুবীর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি তাঁর একান্ত মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তার প্রতিবাদ জানাতেই গায়ে আগুন লাগিয়ে সুবীরের হরিদেবপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই সুবীরের সঙ্গে সম্ভবত বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলার বাড়ি ভবানীপুরে। তাঁর এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। তার বয়স বছর কুড়ি। অন্য দিকে, সুবীরও বিবাহিত। তবে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না। হরিদেবপুরের ওই বাড়িতে আলাদা থাকতেন। মঙ্গলবার তাঁকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আশপাশের এলাকাতেও খোঁজ মেলেনি তাঁর।
হরিদেবপুরে এই ঘটনাটি ঘটে ব্যানার্জিপাড়ার একটি গলিতে। ওই গলির ভিতরে রয়েছে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ওই সেন্টারটির কাছেই, কেরোসিন তেল, দেশলাই বাক্স এবং পোড়া দেশলাইয়ের কাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মৃত্যুশয্যায় ওই মহিলা যে বয়ান দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে সুবীর নামের ওই ব্যক্তির খোঁজও শুরু করেছে তারা। হাসপাতালে আপাতত ওই মহিলার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy