গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়িতে ওষুধের খুচরো বিক্রিতে সাধারণ মানুষকে দেওয়া ছাড় না তোলার নির্দেশ দিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) নেতাদের ডেকে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ছাড় দিয়ে যাঁরা ওষুধ বিক্রি করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ড্রাগ কন্ট্রোল এবং স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি রয়েছে। যদি কোনও বিক্রেতার বিরুদ্ধে খারাপ গুণমানের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ওঠে, তাহলে ড্রাগ কন্ট্রোলকে জানাতে পারে বিসিডিএ। নিজেরা ছাড় বন্ধ জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সঠিক নয় বলেই জানান মন্ত্রী।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই শিলিগুড়ির খুচরো ওষুধ ব্যবসায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। বিসিডিএর তরফে ওষুধের খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের মৌখিক ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল, খারাপ গুণমানের ওষুধ ঢুকতে পারে, তার জন্য সোমবার অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ওষুধের উপর ছাড় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কয়েকটি দোকানের তালিকা দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে তাদের ওষুধ বিক্রি না করারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা জানাচ্ছেন শিলিগুড়ির বাজারে খারাপ গুণমানের কোনও ওষুধ এখনও মেলেনি।
বিসিডিএর ফতোয়ায় বাজারে এক শ্রেণির ওষুধ বিক্রেতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বাম এবং তৃণমূলের সংগঠন সাধারণ মানুষের হয়ে পথে নামে। সই সংগ্রহ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ছড়াতে শুরু করে। তখনই পিছু হটে বিসিডিএ। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, তাঁরা ছাড় তোলার কোনও নির্দেশ দেননি বরং সাবধান হতে বলেছিলেন। এ দিনও মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে তাঁরা সেই দাবি করেছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিডিএর নেতারা কিছু বলতে চাননি।
শিলিগুড়িতে ওষুধের উপর ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মেলে বেশ কিছু দোকানে। কিন্তু শহরের এক শ্রেণির দোকানে ছাড় দিয়ে ওষুধ বিক্রি করা হয় না। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই শ্রেণির দোকানদারেরা বিসিডিএকে ব্যবহার করে ওষুধের খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসার উপর থেকে ছাড় তুলে দেওয়ার কৌশল করতে চাইছিলেন। ছাড় দেওয়া কিছু খুচরো বিক্রেতার দাবি, যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ওষুধের পাতা, বোতলের গায়ে এমআরপি অনুসারেই দাম নেন, তাঁরা গ্রাহকদের প্রাপ্য নিজেরাই ভোগ করছেন। কারণ পাইকারি বাজারে মোটা অঙ্কের ছাড় মেলে ওষুধের খুচরো ব্যবসায়ীদের। কিছু কিছু ওষুধের উপর সেই অঙ্কটা ২৫ শতাংশের মতো। ফলে ১৫-২০ শতাংশ ছাড় দিলে যাঁরা মাসকাবারি ওষুধ কেনেন তাঁদের কিছুটা সুবিধে হয় বলেই জানাচ্ছেন ওই বিক্রেতারা। পাশপাশি ছাড় দিলে ক্রেতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে বলে মানছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy