ফাইল চিত্র
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত এক ব্যক্তির লালারস পরীক্ষা না করেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে গেলে আপত্তি জানায় পরিবার। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির তিলকরোডে একটি নার্সিংহোমের ঘটনা। হইচই হওয়ায় লালারস পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। পরিবারের দাবি রাতে রিপোর্ট এলে দেখা যায় তাঁর করোনা রয়েছে। সেখানে চিকিৎসকরা অন্য রোগী দেখেছেন, নার্সিংহোমে ঘোরাফেরা করেছেন দেখে অন্য রোগীর আত্মীয়রাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
ফুলেশ্বরী মোড় এলাকার বাসিন্দা ৬২ বছরের ওই ব্যক্তি ১৪ জুলাই নার্ভের সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির তিন দিন পর থেকে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখে চিকিৎসককে জানানো হয়। পরিবারের চাপে গত বৃহস্পতিবার নার্সিংহোম রক্তের ‘অ্যান্টিবডি টেস্ট’ করাতে পাঠায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় রোগী মারা গিয়েছে। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ জানিয়ে দেহ নিয়ে যেতে বলে। পরিবারের লোকেরা লালারসের পরীক্ষা না করিয়ে দেহ নিতে রাজি হননি। পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ লালারস পরীক্ষা করতে পাঠান। নার্সিংহোমের দাবি, উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়নি বলে আগে পরীক্ষা করা হয়নি। মৃতের আত্মীয় বিজেপি নেতা রাজু পাল বলেন, ‘‘নার্সিংহোম রোগীর উপসর্গ গুরুত্ব দিতে চায়নি। স্বাস্থ্য দফতর দেখুক।’’
শুক্রবার শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন ৭ জন মারা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিলিগুড়ির পাঁচ জন। শক্তিগড়ের বাসিন্দা এক সিপিএম নেতা এ দিন সেবকমোড় লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে করোনার সংক্রমণ নিয়ে মারা যান বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। কাওয়াখালির কোভিডে এ দিন মারা গিয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে একজন ইসলামপুরের, এ দিন মৃত্যুর পরে রিপোর্ট এলে দেখা যায় নেগেটিভ। আরও এক শিলিগুড়ির বাসিন্দার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হওয়ায় তাঁর দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। এ দিন এখানে মৃতদের মধ্যে একজন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা।
এ দিন নতুন করে শিলিগুড়ি শহরে ২৬ জনের সংক্রমণ মিলেছে। পুর এলাকার বাইরে সংক্রমিত ১৬ জন। মাটিগাড়ার ৫ জন। নকশালবাড়ির বেঙডুবি সেনা হাসপাতালের ৭ জন কর্মীর সংক্রমণ মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy